শিরোনাম: |
হিজাব না পড়ে ক্লাসে ঢুকায় ৯ শিক্ষাথীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে স্কুল শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদের নির্দেশে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে বরখাস্ত করে। এছাড়াও এই ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা প্রশাসন। তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ ব্যাপারে রিপোর্ট প্রদান করতে বলা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এদিন সপ্তম শ্রেণির ক্লাস চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা জানায়, এদিন ৭ম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী হিজাব ছাড়াই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। পরে ক্লাস শুরু হলে হিজাব না পড়া নিয়ে শিক্ষিকা রুমিয়া সরকার তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায় হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে একে একে ৯ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন তিনি।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিচার দাবি করছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মো. ফরিদ বলেন, ক্লাসেই কাঁচি ছিল, তাই হাতের কাছে পেয়ে এ কাজ ঘটিয়েছে। তবে তা অন্যায়।
নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ জানান, যেসব ছাত্রীদের মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ও স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে সাময়িকভাবে দরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|