শিরোনাম: |
নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে সরকার গঠন হতে চলেছে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন নবনির্বাচিত এমপিরা। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পরিষদের বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান। ধারণা করা হচ্ছে, আজই গঠিত হতে পারে মন্ত্রিসভা।
এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির জাতীয় নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পর শপথ নিলেন পাঞ্জাব প্রদেশের আইনপ্রণেতারা। মরিয়ম নওয়াজকে মুখ্যমন্ত্রী করে প্রদেশটিতে সরকার গঠন করতে চলেছে পিএমএল-এন। পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রদেশটির প্রধান হিসেবে এরইমধ্যে মরিয়মকে মনোনীত করেছেন আইনপ্রণেতারা।
আজ পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করবেন আইনপ্রণেতারা।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এমপিদের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি বিলম্বের পরে শপথ গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে, পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দলের মনোনীত মিয়ান আসলামকে বিধানসভা চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপরই সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। একদিকে পিএমএল-এন আইনপ্রণেতারা স্পিকারের কাছে শপথ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। অন্যদিকে বিরোধীরা স্পিকারকে অধিবেশন মুলতবি করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন কারণ, তাদের জন্য এখনো সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ করা হয়নি।
উত্তেজনা কমাতে অধিবেশন সংক্ষিপ্তভাবে স্পিকার শুক্রবারের নামাজের পর পর্যন্ত স্থগিত করেন। নামাজের পর শুরু হয় শপথ গ্রহণ। এছাড়া শনিবার পাঞ্জাব বিধানসভার নতুন স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাসেম্বিলি সচিব। তিনি বলেন, স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের প্রার্থীদের শুক্রবার বিকাল ৫টার মধ্যে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
আট ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের পাশাপাশি পাকিস্তানের পাঁচটি প্রাদেশিক পরিষদেও ভোট হয়েছিল। এই পাঁচটি প্রদেশের পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবেই প্রথম অধিবেশন আহ্বান করা হলো। পাঞ্জাব বিধানসভার মোট ৩৭১টি আসনের মধ্যে ২৯৭টি সাধারণ আসন, ৬৬টি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এবং ৮টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত রয়েছে। আর সরকার গঠনের জন্য যে কোন দল বা জোটের প্রয়োজন ১৮৬ আসনের।
নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) পায় ১৩৭টি আসন এবং ১৩৮ আসনে জিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের জন্য এগিয়ে যায় পিএমএল-এন। পিটিআই নেতা খুররুম শের জামান বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকায় কারচুপির অভিযোগের ‘ন্যায়বিচার’ না পেলে করাচিজুড়ে আন্দোলন শুরু করবেন।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|