শিরোনাম: |
ধর্ষণ মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দিন প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক মো. আল মামুন আসামির অব্যাহতির আবেদন না করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
মামলার শুনানি চলাকালীন সময়ে এএসপি সোহেল উদ্দীন প্রিন্স আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান। বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা। বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে পাননি। এসময় জানতে চাইলে আসামি জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী ওই নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
সোহেল উদ্দীন ৩৬ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন, বর্তমানে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দেশ সংবাদ/ এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|