শিরোনাম: |
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনে ভালোবাসা দিবস আজ ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। প্রিয়জনদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে একমাত্র উৎস হলো ফুল। বসন্তের প্রথম দিনে যেমন বেড়েছে ফুলের চাহিদা তেমনি বেড়েছে ফুলের দামও। তবে এবার সেই ফুল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন প্রেমিক-প্রেমিকা, তরুণ-তরুণীরা।
সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন হল, শাহবাগ ঘুরে দেখা যায়, ফুল ব্যবসায়ীরা প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে একটি গোলাপের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২০-১৬০ টাকা করে। আকারের অনুসারে ফুল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সাধারণ সময়ে একটি গোলাপ বিক্রি হয় ১০ থেকে ২০ টাকায়। তিন-চার দিনের ব্যবধানে তারা গোলাপ ফুলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েক গুণ। এত দাম বেড়ে যাওয়ায় অবাক হয়েছেন ফুল কিনতে আসা প্রেমিক-প্রেমিকারা।
এছাড়া হাইব্রিড জারবেরা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, ভুট্টা কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি ও গাঁদাসহ নানা জাতের ফুল রয়েছে দোকানগুলোতে। সেগুলোর দামও বেড়েছে। তবে চাহিদা তুলনামূলক কম হওয়ায় সেগুলোর দামের বিষয়ে কারও অভিযোগ নেই।
কার্জন হলে গেটে বসে থাকা দুজন ফুল বিক্রেতাকে দাম বাড়তির কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, আজ ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন তাই ফুলের দাম বেশি। আমরাও অনেক বেশি দাম দিয়েই কিনে এনেছি এক একটি গোলাপ কিনতে দাম নিয়েছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা। যেটা অন্যদিন ৫ থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যেত। বিভিন্ন দিবস অনুযায়ী ফুলের দাম একটু বাড়তি থাকে।
গোলাপ ফুল কিনতে আসা সাদমান হাফিজ বলেন, কিছুদিন আগে যে গোলাপ ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে কিনেছি সেই গোলাপ আজ ১৬০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এছাড়া ছোট সাইজেরগুলো ৫০ থেকে ৭০ টাকা দাম চাচ্ছে। শুধু একদিনের জন্য গোলাপ ফুলের দাম বেড়ে যাওয়াটা অযৌক্তিক।
আরেক ক্রেতা শারমিন ও সিমা ইমলাম বলেন, বন্ধুর জন্য ও পরিবারের বাবা-মায়ের জন্য ফুল কিনতে এসেছি। একটু বড় সাইজের গোলাপ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও ছোট সাইজেরগুলো ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভেবেছিলাম অনেকগুলো কিনব, কিন্তু দাম বেশি থাকায় ২টা নিয়েছি। এছাড়া আজ ক্রাউনের দামও অনেক বেশি। কয়েকদিন আগে ১০০ টাকায় প্লাস্টিকের ফুলের ক্রাউন পাওয়া যেত। এখন ২০০ টাকার নিচে ক্রাউন পাওয়া যাচ্ছে না।
যদিও ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি, বসন্ত উৎসব, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা একই দিনে হওয়ায় এবার চাহিদা বেড়েছে গোলাপ ফুলের। পাইকারি বাজার থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। যে কারণে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|