শিরোনাম: |
বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র এবং জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক আইনসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
২০ কোটি ভোটারের বিশাল দেশটি মূলত ১৭০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ১৫০টিরও বেশি ভাষা প্রচলিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম প্রধান এই দেশটিতে। রয়েছে তিনটি টাইম জোন। প্রতিটি জোনেই ভোট গ্রহণ শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়। এরই মধ্যে দেশটির সবচেয়ে পূর্বাঞ্চলীয় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাচলে ভোট চলছে। এর আগে, ভোট কেন্দ্রগুলোকে ব্যালট পেপার ও ব্যাল্ট বাক্স নেয়া হয় ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা ও মোটার সাইকেলে করে। আরও কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে পায়ে হেঁটেও সেগুলো পৌঁছে দেয়া হয় ভোট কেন্দ্রে।
সকালে প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার জার্কাতা ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি ভোটারদের উৎসাহ কমাতে পারেনি। তবে গত সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির কারণে জাভার ১০টি গ্রামে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার জাতীয়, প্রাদেশিক ও আঞ্চলিক আইনপ্রণেতা নির্বাচন করবে ভোটাররা। দেশটির পার্লামেন্টের ৫৮০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮টি রাজনৈতিক দলের অন্তত ১০ হাজার প্রার্থী।
পাঁচ বছরের দুই মেয়াদ শেষে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন জোকো উইদোদো। এবারের নির্বাচন তাই তার উত্তরসূরি বাছাইয়ের ভোট। ইন্দোনেশিয়াকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সফল অর্থনীতিতে পরিণত করার কারণে জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী মনোভাবের অভিযোগ রয়েছে।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে তিন প্রধান প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ৭২ বছর বয়সী প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো। তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তার রানিং মেট বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর ৩৬ বছর বয়সী পুত্র জিব্রাং রাকাবুমিং রাকা। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে তিনিই জিততে চলেছেন। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও জাকার্তার সাবেক গভর্নর অ্যানিস বাসওয়েদান এবং সেন্ট্রাল জাভার সাবেক গভর্নর গঞ্জার প্রানোয়ো।
ভারতে জাতীয় নির্বাচন হয় কয়েক সপ্তাহ ধরে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় হয় একদিনে। সে কারণেই একে একদিনের নির্বাচন বলে। ২০১৯ সালে নির্বাচনী কাজের চাপে মারা গেছে অন্তত ৮১৯ জন কর্মী।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গণনা শেষ হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। তবে প্রাথমিক ফলাফল জানা যায় দিন শেষেই।
দেশসংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|