শিরোনাম: |
ভোট কারচুপির অভিযোগে পিটিআইসহ পাকিস্তানের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ। বিক্ষোভ-সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে রাজধানী ইসলামাবাদে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্রের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ সময় বেআইনি জমায়েতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কেউ কেউ অবৈধ সমাবেশেরও উস্কানি দিচ্ছে।
পুলিশ মুখপাত্র বলেন, বেআইনিভাবে জড়ো হতে উস্কানি দেয়া অপরাধ। পুলিশ প্রতিটি বেআইনি কর্মকাণ্ডে আইনি ব্যবস্থা নেবে। তবে আইন অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে।
ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, আইন মেনে চলা সবার দায়িত্ব। নাগরিকদের বেআইনি কার্যকলাপে অংশ নেতা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এর আগে, ভোট চুরির অভিযোগ তুলে পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দেয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। পরে সিদ্ধান্ত বদল করে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করার কর্মসূচি দেয় দলটি।
পিটিআইয়ের দাবি, তারা একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু এরপরও তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারানো হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এতে দেখা গেছে, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ৯৬টি আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে। আর ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি। এ ছাড়া করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) জয় পেয়েছে ১৭টি আসনে।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|