শিরোনাম: |
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএলে) ২৭ তম ম্যাচে ২০০ রানের আক্ষেপ গুছিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এ দিন আগে ব্যাট করতে নেমে রেজা হেন্ড্রিকস ও জেমি নিশামের জোড়া ফিফটিতে ২১১ রানের পাহাড় গড়ে নুরুল ইসলাম সোহানের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৈকত আলী ফিফটি করলেও সাকিব আল হাসান ও নিশামের বোলিং নৈপুণ্যে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি চট্টলার দলটি। এর ফলে টানা ৫ ম্যাচে জয় তুলে নিলো সাকিব-সোহানের দলটি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার রনি তালুকদার এবং রেজা হেনড্রিক্স মিলে ভালো শুরু এনে দেন দলকে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫২ রান তোলে রংপুর। কিছুক্ষণ পরেই ১৭ বলে ২৪ রান করে দলের ৬১ রানের মাথায় আউট হন রনি। এরপর তিনে নামা সাকিব আল হাসানের সাথে মিলে দলের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন হেনড্রিক্স। ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন সাকিব। মারমুখি ব্যাটিংয়ে বোলারদের তুলোধুনো করছিলেন হেনড্রিক্সও।
সাকিব-হেনড্রিক্সের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকে রংপুরের ইনিংস। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ফিফটি হাঁকিয়েছেন হেনড্রিক্স। দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি ছুঁয়ে ৪১ বলে ৫৮ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে আউট হন রেজা হেনড্রিক্স। একই ওভারে তার আগে আউট হন সাকিবও। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ২৭ রান করেন তিনি। একই ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় রংপুর। রানের গতিও কমে আসে কিছুটা।
তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে শেষ দিকে আবারও ঝড় তুলেছেন জিমি নিশাম এবং নুরুল হাসান সোহান। দুজনের মারমুখি ব্যাটিংয়ে রকেটের গতিতে রান তুলতে থাকে রংপুর। চট্টগ্রামের বোলারদের পিটিয়ে তুলোধুনো করে রংপুরকে ২০০ রানের কাছাকাছি নিয়ে যেতে থাকেন সোহান এবং নিশাম। তাদের মারমুখি ব্যাটিংয়ের সামনে পাত্তাই পাচ্ছিলেন না চট্টগ্রামের বোলাররা। ইনিংসের শেষ বলে দারুণ এক ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ফিফটিটা ছুঁয়ে ফেলেন নিশাম। এর একটু আগেই ২০০ পার করে রংপুর। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় রংপুর রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ২৬ বলে ৫১ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন নিশাম। অন্যদিকে সোহান অপরাজিত ছিলেন ২১ বলে ৩১ রান করে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ওপেনার জশ ব্রাউন ফিরেছেন দলীয় ১২ রানের মাথায়। ৯ বলে ১০ রান করা ব্রাউনকে বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
এরপর টিকে থাকা ওপেনার সৈকত আলী এবং তিনে নামা টম ব্রুস মিলে ধীরেসুস্থে এগোতে থাকেন। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ব্রাউনের উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তোলে চট্টগ্রাম। ব্রুসও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ইমরান তাহিরের প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ব্রুস। ১৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি।
এরপর ধীরেসুস্থে এগোতে থাকেন সৈকত। তার কচ্ছপগতির ব্যাটিংয়ে দলের খুব বেশি লাভ হচ্ছিল না যদিও। নিজে চলে গিয়েছিলেন ফিফটির কাছাকাছি। ধীরেসুস্থে ব্যাট চালিয়ে ফিফটিটাও তুলে নেন সৈকত আলী। অন্যদিকে শাহাদাত হোসেন দিপু ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ২১ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন ক্যাম্ফার।
ফিফটি হাঁকানো সৈকত ইনিংসের শেষ দিকে দৃষ্টিকটুভাবে হয়েছেন রানআউট। ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে চট্টগ্রামের হয়ে ১৩ বলে ৩১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে চট্টগ্রাম। রংপুর পায় ৫৩ রানের দাপুটে জয়।
দেশ সংবাদ/এসএইচ
আপনার মতামত দিন
|