শিরোনাম: |
ভোট গণনা ও সরকার গঠন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে পাকিস্তানে। এসব বিষয় নিয়ে দুদিন পার হওয়ার পর সুখবর পেয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। ১৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতের (এটিসি) বিচারক মালিক ইজাজ আসিফ এক শুনানি শেষে এই রায় দেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৪টি মামলায় জামিন পেয়েছেন ইমরান, সেগুলোর মধ্যে ১২টি ৯ মে দাঙ্গায় উস্কানি সংক্রান্ত; বাকি ২টির মধ্যে একটি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তর এবং সামরিক জাদুঘরে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ইমরান খানের পাশাপাশি তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) জ্যেষ্ঠ নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও ১৩ মামলায় জামিন দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৯ মে একাধিক মামলায় হাজিরা দিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে যান ইমরান খান। সে সময় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আধা-সামরিক বাহিনীর সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।
ইমরানের গ্রেপ্তারের পরপরই দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেয় তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এরপরই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এমনকি সেনানিবাস ও সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়। দুইব্যাপী এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও ২৯০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এদিকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার রাজনীতির ওপর ৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন ইসলামাবাদের জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর লাহোরের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান খানকে। বর্তমানে তিনি আদিয়ালা জেলে বন্দি।
তবে গত মাসে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সপ্তাহে তৃতীয় রায় হিসেবে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে অনৈসলামিক বিবাহের অভিযোগে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে রাওয়াল পিন্ডির একটি আদালত।
আপনার মতামত দিন
|