বিএনপির নির্বাচনে আসা পুরো জাতির জন্য সৌভাগ্যের হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে একবার নয়, দুবার নয়, পাঁচবার নয়, দশবার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা আসেনি। এখনো সময় আছে। আমরা চাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক।
আজ রবিবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা তফসিল পুনর্নির্ধারণের কথা বলেছেন। এর অর্থ এই নয় যে ভোটের তারিখ পেছানো হবে। বিএনপি ভোটে না এলে তখন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সেনাবাহিনী (সশস্ত্র বাহিনী) নিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যদি প্রয়োজন মনে করি, চাইলে তারা (সরকার) আমাদের দেবে। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, প্রশাসনের রদবদল কে কখন করেছিল? বিচারপতি লতিফুর রহমান সাহেব করেছেন। তিনি সিইসি ছিলেন কি না জানি না। তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ছিলেন। আমরা নির্বাচনের স্বার্থে যেটা ভালো মনে করব সেটা করব। আমরা এখতিয়ারের বাইরে যাব না। এখতিয়ারের মধ্যে যা আছে করব।
এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনপূর্ব সময় হচ্ছে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করা পর্যন্ত। এতে কতগুলো ধাপ আছে। যখনই তফসিল ঘোষণা করে থাকি একটা ধাপ হচ্ছে মনোনয়নপত্র দাখিল পর্যন্ত। এরপর বাছাই। এর পরও কিছু স্টেজ থাকে। এরপর আপিল স্টেজ থাকে। শুনানি করে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেব। এরপর থাকে প্রত্যাহার। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার চূড়ান্তভাবে এলোকেট করবেন। এবং বলবেন এখন তোমরা প্রচার করতে পারবে। এরপর ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে সেটা থেমে যাবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী একটি বৈঠক করেছেন। আইনে প্রার্থীর কথা বলা আছে। এ ক্ষেত্রে এখন কেউ প্রচার চালাতে পারে। কেননা এখনো কেউ প্রার্থী হয়নি। এ ছাড়া কোন আইনে বলা আছে যে দলের মনোনয়নপত্র বিক্রির সময় শোডাউন করা যাবে না।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।