শিরোনাম: |
নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার ঘাঘরা ইউনিয়নের দুধী মনিয়ারকান্দা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে হাসানুজ্জামান রাজীবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় অভিযোগ করেন তার চাচাত ভাই আব্দুল রাশিদ।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, রাজিব তার দাম্ভিকতা ও সরকারি চাকুরির প্রভাব দেখিয়ে তার চাচার বাড়ির সীমানার বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ কেঁটে ফেলে। পরে ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে এ কর্মকর্তা তার চাচা এবং চাচাত ভাইদের মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। পরে স্হানীয় সাংবাদিক সুমন রাহাত ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তাকেও হত্যার হুমকিসহ অশালীন আচরন করে রাজিবের পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায় হাসানুজ্জামান রাজীব পেশায় একজন পরিসংখ্যাণ কর্মকর্তা ময়মনসিংহে কর্মরত এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি বৃদ্ধ, মহিলা শিশুসহ গ্রামের এমন কোন লোক নেই যে তার সাথে খারাপ আচরণ করেন নাই। কথায় কথায় ভয় দেখান পুলিশের।
গ্রামবাসী জানান, বাজারে ৭৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের পানদোকান ভাংচুর করেন শুধুমাত্র তার গাড়ি যাতায়াতের অসুবিধা হওয়ার কারনে। তার ভয়ে গ্রামবাসী কোন কিছু বলতে সাহস পায় না। এমনকি বাজারের লোকজনের সাথে করেন খারাপ আচরণ তিনি। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তারই চাচাতো ভাই আব্দুল রাশিদ। আসামি করা হয়েছে তার বাবা, মা, আরেক চাচাতো ভাইকে।
গ্রামবাসী আরো জানান, হাসানুজ্জামান রাজিব এবং তার পরিবারের হাত থেকে আমরা বাচঁতে চাই। এজন্য আমরা সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে কথা বললে পরিসংখ্যাণ কর্মকর্তা, হাসানুজ্জামান রাজিব বলেন, আমি চাকুরি নেয়ার পর এলাকার অসহায়, গরীব মানুষের মাঝে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করে আসছি। গ্রামের মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা করেছি।গ্রামের রাস্তা নির্মাণে সুপারিশ করছি। বয়স্ক, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। গ্রামের কারো সাথে আমার কোন বিরোধ নেই ওরা মিথ্যে অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তাওহিদুর রহমান বলেন, হাসানুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/এইচএন
আপনার মতামত দিন
|