শিরোনাম: |
মাগুরার শ্রীপুরের হানু নদীর ভাঙনের কবলে বিলীন হতে চলেছে ৫টি বাড়ি, ফসলী জমি ও গাছপালা। বিষয়টি জরুরী পদক্ষেপ না নিলে বাড়িগুলো, ফসলী জমি ও গাছপালার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের তখলপুর ও আমলসার ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া হানু নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গড়াই নদীর শাখা হানু নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে এই গ্রামের ৫টি বাড়ি ও বেশ কিছু ফসলি জমি ও গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। হুমকির মূখে রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার চাকদার বিল ও বদনপুরের পার্শ্ববর্তী মাগুরার বিলের সঙ্গে সংযোগ হয়ে মহিষাখোলা খালে এর উৎপত্তিস্থল। বর্ষা মৌসুমে অন্তত ১৫টি গ্রামের ১৭টি বিলের পানি এ নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গড়াই নদীতে মিশে যায়। অধিক বৃষ্টি হলে নদীদে প্রচণ্ড স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে নদীর পাশ্ববর্তী বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি, গাছপালা ভেঙে পড়ে নদীতে।
গত বছর নদীটি পুনঃখননের পর এ ভাঙনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টি হওয়ায় হঠাৎ করে হানু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নদী তীরের মাটি ধসে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে আতংক দেখা দেয়ায় নদী তীরবর্তী বসতিরা বাড়ি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিতে শুরু করছে। ইতোমধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে এ গ্রামের রাজু খান, মিজানুর রহমান, বদিয়ার রহমান, আজিজ খান, শেখ আবদুর রশিদ ও আফজাল খানের বসত বাড়ি ও বাড়ির পাশের গাছপালা বাঁশঝাড়।
বৃহস্পতিবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মকবুল বিশ্বাস, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুসাফির নজরুল, ইউপি সদস্য কাজী আবদুর রউফ, আব্দুর রহিম, সবুর খান, মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থ রাজু খান বলেন, ‘যেসব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সে সকল বাড়ির পাশে দ্রুত বাঁধ দেওয়া জরুরি। নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট অনুরোধ করছি।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|