Published : Tuesday, 22 September, 2020 at 11:34 PM
কক্সবাজার শহরে জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়ারছরা শিল্প এলাকার ঠোঁটিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। রাত ৯টা পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত কেউ আটক হয়নি। আহতদের মধ্যে মুফিজুর রহমান, মোজাম্মেল হক, নুর জাহান, আবদু ছালাম, রিফা আক্তার, আয়েশা বেগম, জিসান, ইমন, মুরাদ, মুন্নি আক্তার, মো. সেলিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নুনিয়ারছড়া টুইট্টা পাড়ার নুরুল আবছারের দুই ছেলে জামাল ও কামালের মাঝে পৈত্রিক সম্পত্তির দখল নিয়ে বিরোধ চলছে। মঙ্গলবার তাদের বিরোধ নিয়ে সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে ছোট ছেলে জামালের পক্ষে নতুন বাহারছড়ার কয়েকজন এবং বড় ছেলে কামালের পক্ষে তার নিকটাত্মীয় নুনিয়ারছড়ার মোজাম্মেল পরিবারের কয়েকজন উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সালিশি বৈঠক হওয়ার আগেই জামালের পক্ষে আসা নতুন বাহারছড়ার আলীসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় মোজাম্মেল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে তা নতুন বাহারছড়া ও নুনিয়ারছড়া গ্রামের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এতে উভয় পাড়ার কয়েকশ মানুষ যুক্ত হয়। ক্ষমতা প্রদর্শন করতে গিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ সভাপতি রিদুয়ান আলী সাজিন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবুল কালাম অস্ত্রসহ ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার করে।
খবর পেয়ে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান ও সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করলেও সরকারদলীয় দুই নেতাসহ কয়েকজন অস্ত্র উচিয়ে গুলি বর্ষণ করায় দুই এলাকার বাসিন্দারা এখনও মারমুখি অবস্থানে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, কোস্টগার্ডের মাঝি হিসেবে পরিচিত মো. জামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিদুয়ান আলী সাজিন ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় খোকা প্রকাশ ভেট্টা, কায়সার, আবু হেনা, শাহাব উদ্দিনসহ অন্তত ৫০ জন সশস্ত্র অবস্থায় ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
কক্সবাজার পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুই পক্ষের মারমুখি অবস্থানের কারণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাসুম খান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া দিনদুপুরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের বিষয়ে তথ্য নেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন ওসি মাসুম খান।