শিরোনাম: |
টানা ৭ দিন বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে পেয়াজ প্রবেশ করলেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের কোন পণ্য চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। লিও পারমিশন না থাকায় পেঁয়াজ ভর্তি কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করার অনুমতি পায়নি। রোদ-বৃষ্টি ও গরমে বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা ৩ হাজার মেট্রিক পেয়াজ পঁচে গেছে। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান সাথে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চ্যাটার্জি ও কয়েকজন পেয়াজ ব্যবসায়ীর আলোচনা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন বন্ধ ঘোষণা পর বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় যে সমস্ত পেয়াজ ভর্তি ট্রাক ও রেলের ওয়াগান দাড়িয়ে আছে। এ সকল পেয়াজ নষ্ট হচ্ছে। পেয়াজ সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল ভারতের বানিজ্য মন্ত্রনালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ তারিখ থেকে বন্দর এলাকায় যে সমস্ত পেয়াজের গাড়ী বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে নতুন করে তাদেও লিও পারমিশন দেয়া হবে। সে সব পেয়াজ বোঝাই গাড়ী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে।
আমদানীকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন ঘোষনা ছাড়াই ভারত সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয়। ভারতের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী বাপ্পা বিশ্বাসের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, লিও পারমিশন না থাকায় রফতানীকারকরা পেয়াজ রপ্তানী করতে পারছে না। যার কারণে ভারতের রানা ঘাটে তিন ওয়াগানে প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন ও পেট্রাপোল এলাকায় ৫০/৬০টি ট্রাকে ১৫ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। যার ৫০ শতাংশ পেয়াজ পচে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ২/১ দিনের মধ্যে পেয়াজ ছাড় করতে না পারলে সম্পূর্ণ পেয়াজ পচে যাবে। ক্ষতির পরিমাণ দাড়াবে ৩০ কোটি টাকা। এতে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
বেনাপোল আমদানী-রপ্তানী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মহসিন মিলন জানান, ভারত সরকার পেয়াজ রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বেনপোলের ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় ১৫০ গাড়ী পেয়াজ বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিল। অত্যন্ত রোদ-বৃষ্টির কারণে ৪০ শতাংশ পেয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে আমদানী কারক ভজন দাস জানিয়েছেন। এতে ব্যবসায়িরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমদানীকারক, ক্রেতা ও বিক্রেতারা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চায়
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|