Published : Wednesday, 16 September, 2020 at 11:44 AM, Update: 16.09.2020 11:49:42 AM
টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট প্রধান বিল গেটস বলেছেন, করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২১ সালের শুরুতেই অন্তত ৬টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা চলে আসবে বাজারে।
বিল গেটস বলেন, কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে। তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলও ভাল। তাই আশা করা যায় কিছু ভ্যাকসিন আগামী বছরের একেবারে শুরুর দিকেই চলে আসবে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।
কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। পেনসিলভানিয়ার বায়োটেক ফার্ম ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের ভ্যাকসিন গবেষণায় সামিল বিল গেটসও। এই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণার কাছে যাবতীয় আর্থিক অনুদান দিয়েছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এছাড়া কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি)-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আগাম পরিকল্পনাও করে রেখেছেন তিনি।
গেটস বলেন, এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করছে তাদের ফাউন্ডেশন। বছরে ১০০ কোটি বা ২০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ যদি তৈরি করা যায়, তাহলে কোভিড আক্রান্ত দেশগুলোতে দ্রুত সেই ডোজ পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিশ্বে ভ্যাকসিনের গণবন্টন ব্যবস্থা বা কোভ্যাক্স কর্মসূচীরও অংশ তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন নামী কর্পোরেট সংস্থা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছে। ভ্যাকসিনের ডোজ চলে এলে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিশেষত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব এই কোভ্যাক্স মিশনের।
ভ্যাকসিনের সমবন্টন নিয়েও এ দিন কথা বলেন বিল গেটস। তিনি জানান, এক দেশে সংক্রমণ বন্ধ হলেও বিশ্বজুড়ে মহামারি ঠেকানো সম্ভব নয়। করোনার মোকাবিলায় তাই সব দেশকেই এগিয়ে এসে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। দরিদ্র দেশগুলিকে আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার বন্ধ হলে তবেই সার্বিকভাবে এই মহামারিকে ঠেকানো যাবে। ভ্যাকসিন গবেষণায় ভারতের ভূমিকারও প্রশংসা করেন গেটস।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে পশ্চিমের দেশগুলিতে। তাদের উচিত ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণে ভারতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া। কারণ ভ্যাকসিন তৈরিতে খুব ভাল কাজ করছে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যাল ও বায়োটেকনোলজি কোম্পানিগুলো। ড্রাগ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে ভারতের সুনাম আছে বিশ্বের বাজারে। ভারতে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরি হয়, বিশ্বের কোনও দেশে তেমনটা হয় না। করোনার টিকা তৈরির কাজে ভারতের ফার্মাসিউটিক্যালগুলির সেই প্রচেষ্টাই দেখা যাচ্ছে। কোটি কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করার পরিকাঠামো রয়েছে ভারতের।