শিরোনাম: |
রংপুর নগরীতে হচ্ছে বিশ্বামানের ক্যান্সার হাসপাতাল। ১০০ শয্যার অত্যাধুনিক ‘ক্যান্সার হাসপাতাল’টি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে এই ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, চলছে মূল্যায়ন কাজ। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ বছরের মধ্যেই সুফল পাবে রংপুরসহ পুরো বিভাগের মানুষ।
রংপুর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে ১ একর ৩৭ শতক জমির ওপর ১০০ শয্যার এই ক্যান্সার হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে। হাসপাতাল নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ৯২ কোটি টাকা আর ৬৮ কোটি টাকা, ব্যয় ধরা হয়েছে অন্যান্য কাজে। হাসপাতালটিতে ৬টি লিফট রাখা হয়েছে। রোগীদের বহনের জন্য ২ হাজার কেজি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বেড লিফটও থাকবে সেখানে।
১৫ তলা এই হাসপাতালের ভিত্তি হবে ডাবল বেজমেন্ট। ১৩ হাজার ৩৪২ স্কয়ার ফিটের প্রথম ও দ্বিতীয় বেজমেন্টে থাকবে টেস্ট ল্যাব। যাতে করে কোন রেডিয়েশন না ছড়াতে পারে। প্রথম তলার ১১ হাজার ১৩৬ স্কয়ার ফিট জায়গায় থাকবে স্টোর রুম, রোগীদের বসার স্থান, ক্যান্টিন, অফিস রুমসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। দ্বিতীয় তলায় ১৩ হাজার ৮২৬ স্কয়ার ফিট জায়গায় থাকবে চিকিৎসকদের চেম্বার।
তৃতীয় তলার ১৪ হাজার ৬৯৮ স্কয়ার ফিট জায়গাজুড়ে থাকবে চিকিৎসকদের সভাকক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাশরুম, নার্সেস স্টেশন ও কেমোথ্যারফির রুম। চতুর্থ তলার ১৪ হাজার ৭৪৪ স্কয়ার ফিট জায়গায় রয়েছে ৫০ শয্যার পুরুষ ওয়ার্ড। পঞ্চম তলার ১৩ হাজার ৩৩৮ স্কয়ারফিট জায়গায় রয়েছে ৫০ শয্যার মহিলা ওয়ার্ড।
ষষ্ঠ তলার ১৩ হাজার ৩৩৮ স্কয়ার ফিট জায়গায় থাকছে প্রফেসর, মেডিকেল অফিসার, রেকর্ড রুম, কমপিউটার রুম, রিসার্চ রুমসহ দাপ্তরিক কাজের স্থান। সপ্তম থেকে চৌদ্দ তলা পর্যন্ত কি কি থাকবে তা স্থাপত্য বিভাগ থেকে এখনো জানানো হয়নি। সব মিলিয়ে খরচ হবে ১৬০ কোটি টাকা।
ওই সূত্র জানায়, ৬৮ কোটি টাকার অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সড়ক, সীমানা প্রাচীর, ভূমি উন্নয়ন, ভূগর্ভস্থ পানির রিজার্ভ ট্যাংক, ফুটপাত, ড্রেন, পাম্প হাউজ, বৃষ্টির পানি ধারণের জন্য অত্যাধুনিক ট্যাংক, বৃক্ষরোপণ, ইন্টারকম সিস্টেম, ১ হাজার শত কেভি ট্রান্সফরমার স্থাপন, এইচটিএলটি ক্যাবলসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন।
রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. নুরুনবী লাইজু জানান, রংপুরে নির্মিত এই হাসপাতালটি হবে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল। এই হাসপাতালে যেসকল যন্ত্রপাতি থাকবে তা অত্যাধুনিক। বিশ্বে যেভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা হয় এখানেও সেভাবে হবে।
রংপুর গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ সাকিউজ্জামান জানান, আগামী দুই বছরের মধ্যে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হলে রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলার মানুষ ক্যান্সারের চিকিৎসা পাবেন। আমরা সেভাবেই কাজ গুছিয়ে নিচ্ছি। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাসপাতালের কাজ শেষ করতে পারবো।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|