Published : Monday, 14 September, 2020 at 9:21 PM, Update: 14.09.2020 9:56:49 PM
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রামপুর গ্রামের নাসিম উদ্দীন আহমেদের পুত্র মোজাহারুল ইসলাম। শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই তিনি তার মেধা, যোগ্যতা ও স্বাক্ষরতার পরিচয় দেন। ১৯৯১ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পরে ১৯৯৬ সালে রাজধানী ঢাকার সরকারী তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন।
স্নাতক শেষ করেই ১৯৯৭ সালে তীক্ষ্ম মেধার বলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটিলিজেন্স (এনএসআই) তে চাকুরী লাভ করেন। চাকুরীরত অবস্থায় ২০০৫ সালে তিনি সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি ডিভি লটারীর ভাগ্যচক্রে চলে যান আমেরিকায়। সেখানেই তিনি রিটেইল বিজনেস দিয়ে ব্যবসা জীবনের শুরু করেন। তাঁর সততা ও ন্যায় পরায়নতায় ব্যবসায় তিনি আকাশচুম্বী উন্নতি সাধন করতে শুরু করেন। সফলতার সাথে রকেট গতিতে ব্যবসার সম্প্রসারণ করতে থাকেন। কয়েক বছরের মধ্যেই ৮টি স্টোর এবং ৫টি রেষ্টুরেন্টের সত্বাধিকারী হন। এরপর ২০২০ সালে তিনি রেডল্যান্ড স্কোয়ার নামে একটি বিজনেস প্লাজা ক্রয় করেন।
বর্তমানে আমেরিকাতে মোজহারুল ইসলাম একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। সম্প্রতি তিনি একটি বিজনেস প্লাজা ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আমেরিকার অন্যতম বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা’র অন্যতম পরিচালক এবং ফ্লোরিডা স্টেট বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। আমেরিকার সেরা ১০০ প্রভাবশালী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম নির্বাচিত হওয়ার কৃতিত্ব লাভ করেন মোজাহারুল ইসলাম। তাঁর এই কৃতিত্বে নিজ এলাকার মানুষসহ দেশের অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মোজাহারুল ইসলাম একজন সফল ব্যবসায়ী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক ও পরীক্ষিত সরকারী কর্মকর্তা। তিনি আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামীতে অবস্থান করছেন। সেখানে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম তাজমহল রেস্টুরেন্ট গ্রুপ। খুব শীঘ্রই আমেরিকান একটি জার্নালে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশিত হবে বলেও জানা গেছে। প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তে বহুদলীয় রাজনীতির পক্ষে তাঁর অবস্থান। তিনি সুষ্ঠু রাজনৈতিক চিন্তার লালন ও প্রতিপালন করবার চেষ্টা করেন সব সময়।
তিনি আমেরিকায় বসবাস করলেও দেশের মানুষের কথা, তাঁর এলাকার অবহেলিত মানুষের কথা কখনও ভুলেননি। তিনি সেখানে বসেও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কথা ভাবেন। আর সেজন্য তিনি তীব্র শীতে কাতর মানুষের মাঝে প্রতি বছর কম্বলসহ গরম কাপড় বিতরণ করেন। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর সহজাত স্বভাব। তিনি তাদের সব সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেন। এসব কাজ তিনি করেন অত্যন্ত নিরবে-নিভৃতে। কেউ এসব কাজ যেমন ঢাক-ঢোল পিটিয়ে করেন, তিনি সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি কখনও এমনটা করেন না। কেননা তিনি জানেন, সহযোগিতা করে প্রচার করলে অনেকেই মনে কষ্ট পেতে পারেন। তাই তিনি আত্মতৃপ্তি নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন অবিরাম।
পর্দার পেছনে থাকা মানুষটি বর্তমানে প্রবাসে রাজনীতি করলেও খুব শীঘ্রই দেশের মাটিতে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য রাজনীতিতে নামবেন বলে জানা গেছে। আর তাকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষমান হয়ে রয়েছেন তাঁর এলাকার মানুষসহ বিএনপি’র তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তিনি রাজনীতি করলে রাজনীতিতে একটা মৌলিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে মোজাহারুল ইসলাম জানান, আমাদের রাজনীতিবিদরা নির্বাচিত হওয়ার পরে ভোটারদের নিকট দেয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। আমি ব্যতিক্রমতার প্রমান দিতে চাই। সাদা মনের মানুষেরা রাজনীতিতে কি পরিবর্তন আনতে পারে তার সাক্ষর রাখতে চাই। আমি সত্যিকারের গণমানুষের নেতা হয়ে মানুষের কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করতে করে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চাই।