শিরোনাম: |
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় অবাধে চলছে শামুক নিধন। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। অপরদিকে এভাবে শামুক নিধনের ফলে কৃষিজমির উর্বরতা কমছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
প্রতিবছর আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত উপজেলার লখন্ডা, পিড়ারবাড়ি, নৈয়ারবাড়ি, রামনগর, কলাবাড়ি, কুমুরিয়া, সাতুরিয়া, রামশীলসহ বিভিন্ন বিল থেকে শামুক সংগ্রহ করে উপজেলা সদরে প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে চলে যায় বাগেরহাট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কৃষির জমির উর্বরতা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এভাবে শামুক নিধন বন্ধের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে মৎস্য আইনে শামুক নিধনের সুনির্দিষ্ট ধারা না থাকার কারণে ব্যবস্থা নিচ্ছে না মৎস্য বিভাগ। প্রাণিবিভাগও নিশ্চুপ।
শিক্ষানুরাগী এক যুবক বলেন, প্রতিদিন বিল থেকে শত শত মানুষ শামুক সংগ্রহ করে এলাকার ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে। এভাবে শামুক নিধনের ফলে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে দিন দিন জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ দাস বলেন, শামুক প্রাণিসম্পদের মধ্যে পড়ে না। এটি মৎস্য অধিদপ্তরের বিষয়। শামুক নিধনে তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, শামুক নিধনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য আইনে সুনিদিষ্ট কোনো ধারা না থাকার কারণে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে আমরা আমাদের দপ্তর থেকে শামুক নিধন না করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, যারা নির্বিচারে শামুক নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|