Published : Friday, 11 September, 2020 at 11:52 AM
গত সপ্তাহে দাম বাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বাড়ল ৩০ টাকা পর্যন্ত। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশকিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আর হুট করে বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম বাড়তিই রয়েছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১২৫ টাকা। তার আগে ছিল ১১০-১১৫ টাকার মধ্যে।
সেগুনবাগিচা বাজারে ১৪৫ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা মো. আব্দুর রহমান বলেন, গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করেছি ১৩০ টাকা। আজ পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার ওপরে বেড়েছে। ফলে ১৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। দুই সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১১৫ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি এখন আগের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।
খিলগাঁওয়ে ১৩৫ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা আলামিন বলেন, গত সপ্তাহে ১২৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। পাইকারিতে দাম বাড়ায় আজ ১৩৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে দাম আরও বাড়বে।
পেঁয়াজ নিয়ে কাণ্ড কম হয়নি। গতবছর পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকায় উঠেছিল। যদিও পরবর্তীতে নানামুখী প্রচেষ্টায় পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসে। প্রায় দুই মাস ধরে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। তবে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সংবাদে গত সপ্তাহে হুট করেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। এখন নতুন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, কিছুদিন আগেও দেশি পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই পেঁয়াজের দাম হুট করে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। বাছাই করা পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ার পর পেঁয়াজের দাম আর কমেনি। সহসা দাম কমবে বলে মনে হচ্ছে না। এদিকে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এরপরও সব ধরনের সবজির দাম এখনো বেশ চড়া।
শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২২০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। গাজর আগের মতই বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি ৭০-১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি।
পটলের দাম কিছুটা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। দাম কমার তালিকায় থাকা কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। কাঁচা মরিচের ঝাল আগের মতই কড়া। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম বলেন, শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। গত সপ্তাহে শিমের কেজি বিক্রি করেছি ১৮০ টাকা। সেই শিম এখন বিক্রি করছি ১২০ টাকা। ৫০ টাকার পটল ৪০ টাকা হয়েছে। ৬০ টাকার ঝিঙা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সামনে সবজির দাম আরও কমবে।