Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ টিউলিপকে বরখাস্তে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ■ এনসিটিবির সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অনেকেই ■ ‘বিচারের পর দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ আছে’ ■ অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডের মতিউর ■ যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্ক হোঁচট খাবে না ■ দুদক সংস্কারে ৪৭ সুপারিশ ■ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস
বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের তীর তিতাসের দিকে
Published : Sunday, 6 September, 2020 at 10:41 PM, Update: 07.09.2020 10:29:24 AM

বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের তীর তিতাসের দিকে

বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযোগের তীর তিতাসের দিকে

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে রহস্যময় বিস্ফোরণের মূল কারণ কী- এমন প্রশ্নই এখন মুখ্য হয়ে উঠেছে। লিকেজ হওয়া গ্যাসের কারণে আগুনের তীব্রতা অতিমাত্রায় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাকেই প্রধান বলে মনে করা হলেও আগুনের সূত্রপাতের ওপরই জোর দিচ্ছে তদন্ত কমিটিগুলো।

এখনও পর্যন্ত সব অভিযোগের তীর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড কোম্পানির ওপর থাকলেও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, ওই মসজিদ কমিটির অনিয়ম ও উদাসীনতার প্রমাণ। বিশেষ করে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে ওই মসজিদে এসির জন্য নেয়া বিদ্যুত, তার ক্যাপাসিটি ও সার্কিট ব্রেকার এবং গ্যাস লাইনের উপর মসজিদটি নির্মাণের বিষয়ে যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেগুলোর প্রতিটিরই জবাব মিলেছে  অনুসন্ধানে।

তথ্যানুসন্ধানে ও মসজিদ কমিটির একাধিক পুরনো সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নব্বইয়ের দশকে খানপুর সরদারপাড়া এলাকার মাহমুদ সরদার নিজের এই জমিটি মসজিদের জন্য দান করেন। ওই সময় মসজিদটি ছোট আকারে নির্মিত হয়েছিল। ওই সময় টিনশেড মসজিদটির পেছনের অংশে মুয়াজ্জিনের থাকার কক্ষে একটি গ্যাসের রাইজার ছিল। পরে ৭/৮ বছর আগে মসজিদটির বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলে রাইজারটি খুলে গ্যাসের লাইনটি মসজিদের নিচে রেখেই ওপরে নির্মাণকাজ করা হয়। প্রায় বছরখানেক আগে থেকে সেই লাইনের লিকেজ থেকেই গ্যাস নির্গত হচ্ছে বলেও জানান অধিকাংশ লোকজন। ঘটনার দিন এশার নামাজের সময় বিদ্যুত চলে যাওয়ার পর এসি বন্ধ হয়ে গেলে অন্য একটি ফিডারের লাইন ওপেন করতে গিয়েছিলেন দগ্ধ অবস্থায় মৃত মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন।

ধারণা করা হচ্ছে, ওই ফিডারটি চালু করার পরপরই বিদ্যুতের লোড ও ভোল্টেজ তারতম্যের কারণে স্পার্কিং হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছিল। কারণ ৬টি এসি চালানোর জন্য কোন সার্কিট ব্রেকারও ছিল না, যেটি (সার্কিট ব্রেকার) বিদ্যুত বা ভোল্টেজের তারতম্য হলে স্বয়ক্রিংভাবে এসির লাইন বন্ধ করে দিতে স্বক্ষম ছিল। অপরদিকে গ্যাস লিকেজ ও তিতাস কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ঘুষ দাবির কারণে বিস্ফোরণের মূল অভিযোগটি তিতাস কর্তৃপক্ষের ওপরই দিচ্ছেন সকলে।

মসজিদ কমিটির অভিযোগ ছিল, প্রায় ৯মাস আগে থেকেই এই লিকেজের কারণে মসজিদের অভ্যন্তরে গ্যাসের গন্ধে বসতে পারতেন না মুসল্লীরা। বিষয়টি তিতাস কর্তপক্ষকে জানালে তারা লাইন মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। ঘুষের টাকা না পেয়ে তারা দীর্ঘ ৯মাসেও লাইনটি মেরামত করেননি বলে অভিযোগ করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মেম্বার।

কিন্তু তিতাসের ওই এলাকার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম (ভারপ্রাপ্ত) মফিজুল ইসলাম ঘটনার পর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এমন কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ তারা পাননি। তিনি বলেন, গ্যাস লিকেজের কোনো অভিযোগ পেলে তারা সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে টিম প্রেরণ করেন।

তবে রোববার এ ব্যাপারে পুনরায় জানার জন্য ফোন দিলে মফিজুল ইসলাম জানান, তিনি তদন্ত কমিটির সদস্য এবং এ বিষয়ে তাকে কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য দেয়া থেকে জেলা প্রশাসন থেকে নিষেধ করা হয়েছে।

তবে তিতাস কর্তৃপক্ষ এই দায় এড়াতে পারে না বলে অভিযোগ করছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, গ্যাস লিকেজের বিষয়টি যে সত্য সেটি প্রমাণের প্রয়োজন নেই। লিকেজ মেরামতের দ্বায়িত্ব তিতাস কর্তৃপক্ষের। মেরামতের বিষয়টি বাদই দিলাম কিন্তু তারা ঘটনার পর পুরো এলাকার লাইন বন্ধ করে দিতে পারলে মসজিদে লিকেজের লাইনটি কেন বন্ধ করলেন না?

এদিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মেম্বার  জানান, গ্যাস লিকেজের বিষয়টি নিয়ে মূলত মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান গিয়েছিলেন এবং তিনিই আমাদেরকে জানিয়েছিলেন তিতাসের লোকজন ৫০ হাজার টাকায় মিটমাট করে দিবে।

তিতাসের গ্যাস পাইপ (লাইন) রেখেই মসজিদের বহুতল ভবনের নির্মাণ করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গফুর মেম্বার বলেন, মসজিদের নিচে কোন গ্যাস লাইন নেই। আশপাশের রাইজার বা লাইন লিকেজ হয়ে মসজিদের ভিতরে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের একটি লাইনের কোনো লিখিত অনুমতি নেই বলে স্বীকার করে গফুর বলেন, ওই লাইনটি রোযার আগে ডিপিডিসি থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে লাগানো হয়েছিল।

এদিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেইন্যান্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রাথমিক অবস্থায় আমরা দেখতে পেয়েছি এ দুই তলা মসজিদের নিচতলার ফ্লোরের নিচে তিতাস গ্যাসের একটা লাইন আছে। বর্তমানে এ ফ্লোরে পানি থাকার কারণে পানিতে বুদবুদ উঠছে। এতে বুঝা যায় গ্যাস নির্গত হচ্ছে। আমরা অনুমান করছি, এখানে যেহেতু নামাজের সময় এসি চালু ছিল। তার মানে পুরো ঘরটা এখানে বদ্ধ অবস্থায় ছিল। ঘরটা বদ্ধ থাকায় গ্যাস এখানে জমে যায়। হয়তো কোনো একজন কোনটা লাইট বা ফ্যানের সুইচ অন করার সময় হয়তো কোন প্রেসারে কারণে এটা ঘটে থাকতে পারে। কারণ এসিগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এসিগুলো বিস্ফোরণ হলে আশপাশে আরো কালো দাগ পাওয়া যেতো। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দাগ পাওয়া যায়নি।

দেশসংবাদ/জেআর/এসআই


আপনার মতামত দিন
মেঘনায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষ, নিহত ৩
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
Saturday, 11 January, 2025
সড়ক দুর্ঘটনায়  ১২ শতাংশ প্রাণহানি বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
Wednesday, 8 January, 2025
ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস পুকুরে, নিহত ৫
ফরিদপুর প্রতিনিধি
Tuesday, 7 January, 2025
পল্টনে ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে
নিজস্ব প্রতিবেদক
Tuesday, 7 January, 2025
২০২৪ সালে সারাদেশে দূর্ঘটনায় নিহত ৯২৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
Saturday, 4 January, 2025
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up