করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি বিগত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে এক প্রকার স্বেচ্ছায় ঘরবন্ধি জীবন যাপন করছেন, সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মো: মাসুদ ভয়কে জয় করে সম্পূর্ন স্রোতের বিপরীতে দাড়িয়ে মানুষের কল্যানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
করোনাকালীন সময়ে এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মনুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে করোনা মৃত ব্যাক্তিদের দাফনেও অগ্রনী ভুমিকা পালন করে চলেয়েছেন তিনি। এর ফলে নিজের নির্বাচনী এলাকা ৫৪ নং ওয়ার্ড সহ পুরো শ্যামপুর থানা এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে ইতিমধ্যে মানবিক কাউন্সিলর হিসেবে নিজের ভাবমুর্তি উজ্ঝল করতে সক্ষম হয়েছেন হাজী মো: মাসুদ।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাকালে প্রতিদিনই হাজী মাসুদ তার সহযোগীদের নিয়ে মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। তার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে প্রায় পনের হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়। এছাড়া সাধারণ মানুষের মাঝে দশ হাজারে মতো মাস্ক বিতরণ, মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং, করোনা মৃতদের দাফন, রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান সহ নানা ধরণের কর্মকান্ড এখনো অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
এদিকে কাউন্সিলর হওয়ার আগে থেকেই হাজী মাসুদ এলাকায় সমাজ সেবামুলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন, গরীব মানুষের বিয়ে, চিকিৎসা সহ নানা প্রয়োজনে অর্থিক সহযোগীতা, নিজ অর্থায়নে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ পরিস্কার করণ, মসজিদ মন্দিরে অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান সহ যেকানো ধরণের সামাজিক, ধর্মীয় কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। কাউন্সিলর হওয়ার পর দুই মেয়াদে জুরাইন কবরস্থানের আধুনিকায়নের পাশাপাশি, আলমবাগ এলাকায় রেল লাইন সংলগ্ন সড়ক, আলমবাগ খাজা ম্ইানুদ্দিন সড়ক, আইজি গেইট এলাকার জয়নাল আবেদীন সড়ক, ইসলামবাগ হাউজিং রোড, নিউ আলী বহর রোডসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অসংখ্য সড়কের নির্মাণ, পুন নির্মাণ ও সংস্কার করেন তিনি। এছাড়া তার নিজের ওয়ার্ডের শতকরা আশিভাগ মসজিদের উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে এয়ারকুলার প্রদান করেন হাজী মাসুদ । এর ফলে পুরো ৫৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছে হাজী মো: মাসুদ অত্যান্ত নন্দিত ও মানবিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
শুধু এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে নয়, নিজ দল আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অন্য দল ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতারাও হাজী মাসুদকে একজন পরো-উপকারী সজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে জানেন।
এই ব্যাপারে শ্যামপুর থানা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম মোল্লা বলেন, আমি যতটুকু জানি হাজী মাসুদ অত্যান্ত জনপ্রিয় একজন নেতা। তিনি কাউন্সিলর হওয়ার পর এলাকায় যেমন ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন, ঠিক তেমনি সন্ত্রাস চাঁদাবাজি, মাদক নির্মুলে অগ্রনী ভুমিকা রাখছেন। এলাকার সকল মানুষ তার কাছে সহজে সকল নাগরিক সুবিধা পান।
৫৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত মুফতি বলেন, আমি ৬৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছি। তখন থেকেই আমি হাজী মাসুদের বাবা হাজী আশরাফ আলীকে চিনি। আওয়ামী লীগের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে একাত্তর সাল থেকেই হাজী মাসুদের বাবা আমাদের সঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলো। এমনকি পচাঁত্তরের পনেরই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় প্রতিরাতেই হাজী মাসুদের বাবা আমাদের সঙ্গে চিকা মারতে রেব হতো। আমরা তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রতিরাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়ে দেয়ালে দেয়ালে চিকা মারতাম। সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে কাউন্সিলর হাজী মো: মাসুদ অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে এলাকার উন্নয়নে যেমন নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করছেন, ঠিক তেমনি শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করছেন। তাছাড়া তিনি একজন সফল ব্যাবসায়ী হওয়াতে নিজের ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকেও এলাকাবাসীকে নিয়মিত সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
৫৪ নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ী জামে মসজিদের ইমান হাফেজ মাওলানা মুজিবুর রহমান বলেন, হাজী মাসুদ অত্যান্ত ধার্মিক, ভালো মানুষ। তিনি একাধিব বার হজ্জ করেছেন। এলাকার জন্য নিবেদিত।
ঢাকা মহানগর হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ও এলাকার রাম লক্ষন জিউ ও শংকর সাধুর আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক ডি.কে সমির বলেছেন, হাজী মাসুদ করোনার সময় যে কাজ করেছেন তা অন্য কোনো কাউন্সিলর করেছেন কিনা আমার জানা নেই। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষকে তিনি খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন। তিনি যেমন মসজিদের উন্নয়নে আর্থিক সহযোগীতা করেন, তেমনি আমাদের বিভিন্ন পুজা র্পাবনের পাশাপাশি মন্দিরের উন্নয়নে সাহায্য করেছেন। তার কাছে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমান। তিনি এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। এছাড়া মাদক, সন্ত্রাস ও চাদাঁবাজিও নির্মূল করেছেন।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে নিজেও সক্রিয় ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রেক্ষিতে হাজী মো:মাসুদকে শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে তুলেন তিনি।
একই সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজণৈতিক দশর্নে বিশ্বাসী হাজারো রাজনৈতিক কর্মী তৈরি করেন হাজী মাসুদ। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী হিসেবে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাসুদের বিরুদ্ধে ঈর্ষান্বিত হয়ে অপ -প্রচারে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শ্যামপুর থানা আওয়াম লীগের সহ সভাপতি সালেহ আহমেদ। তিনি বলেন, মাসুদ যেমন কাউন্সিলর হিসেবে সফল , ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের শ্যামপুর থানার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর সে যেভাবে হাজার হাজার কর্মী বাহিনী তৈরি করেছেন, তাতে আমাদের দলের কর্মী ছাড়া তথাকথিত বড় নেতারা ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠছেন। যার কারণে তারা মাসুদের বিরুদ্ধে অপ প্রচারে লিপ্ত রয়েছেন বলে সালেহ আহমেদ দাবি করেন।
তিনি বলেন, প্রথম বার হাজী মাসুদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনগণের ভালোবাসা তার প্রতি কতটুকু আছে, তাতে তো প্রমাণ হয়। এবার আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে তিনি জয়লাভ করেছেন। বিগত সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলেই এলাকার মানুষ তাকে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত করেছেন। এই ব্যাপারে হাজী মো: মাসুদ বলেন, আমি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার আদর্শের সৈনিক হিসেবে বর্তমান আমার অভিবাভক মাননীয় মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসের নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য আমার সিনিয়র জুনিয়র সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। এখন কতটুকু করতে পারছি তার মুল্যায়ন করবেন আমার এলাকার সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা।