শিরোনাম: |
ভোলা জেলা নবাগত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন,কমিউনিটি ও বীট পুলিশির মাধ্যমে সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌছে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভোলা জোলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কেন্দ্রিক বীট পুলিশি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে চরফ্যাশন থানা পরির্দশনে এসে পুলিশ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে সাধারন জনগনের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী বীট পুলিশি সেবা চালু করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কমিউনিটি পুলিশি ব্যবস্থা পুলিশ ও জনগনের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এটি একটি প্রতিরোধমূলক ও সমস্যা সমাধান ভিত্তিক পুলিশী ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় জনগণ এলাকার সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ পায়।
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা ও শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়। জনগণের নিকট পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে এবং জনগনের মধ্যে পুলিশ ভীতি ও অপরাধ হ্রাস পায় এবং জনগণ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। জনগণের সহায়তায় পুলিশ নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা সমাধানের কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে পারে। জনগণ পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা ও পূরণ হয়।
তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, গণমানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌছে দেওয়া হয়েছে। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সর্বত্র হাতে নেওয়া হয়েছে গনমুখী,উন্নয়নমুখী পুলিশি কার্যক্রম। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডকেন্দ্রিক বিট পুলিশি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে তার এলাকার প্রত্যেক নাগরিকের সুখ-দুঃখের খোঁজ নেবেন। বিপদে ও প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। এক্ষেত্রে তিনি তার নির্ধারিত এলাকায় অপরাধ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর নিকট গৃহ-ডাক্তারের মতোই কাজ করবেন। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা সকল ইউনিটে পৌছে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা কোনোভাবেই কোনও ধরনের দুর্নীতি বা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। পুলিশকে দূর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের ৫টি দিক নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। এছাড়া তিনি পুলিশ সদস্যদেরকে মাদকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থান জিরো টলারেন্স’। কোনও পুলিশ সদস্য মাদকের সঙ্গে অথবা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী উন্নত দেশের ন্যায় পুলিশকেও আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে উঠতে হবে বলেও জানান।
পরে তিনি বেতুয়া নদীর ঘাট, জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক ঘুরে দেখেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়ন সহকারী পুলিশ সুপার(চরফ্যাশন সার্কেল) শেখ সাব্বির হোসেন, চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামসুল আরেফিন, ওসি তদন্ত মো. মুরাদ হোসেন প্রমূখ।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/বি
আপনার মতামত দিন
|