শিরোনাম: |
মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দেশের আট জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু এবং চার জনের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে মা-ছেলে এবং একই পরিবারের তিন ভাই-বোনও রয়েছেন।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার শ্রীবরদীতে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ আগষ্ট) পৃথক পৃথক সময়ে জান্নাত (৫), সিয়াম (৭) ও মুসাফির (৭) নামে ওই তিন শিশুর মৃত্যু হয়। নিহত জান্নাত ও সিয়ামের বাড়ি বকশিগঞ্জের নিলক্ষিয়ায়। তারা দুজনই একই বাড়ির। জান্নাত রাশেদের মেয়ে ও সিয়াম আফজাল মিয়ার ছেলে। মুসাফির শ্রীবরদীর চাংপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে নিলক্ষিয়া গ্রামের জান্নাত ও সিয়াম অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলার ছলে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন তাদের মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে খেলাধুলার এক পর্যায়ে সবার অজান্তে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে পড়ে যায় মুসাফির। খোঁজাখুজি পর পরিবারের লোকজন ডোবা থেকে মুসাফিরকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা. তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, লালমনিরহাটে মামার বাড়িড়ে বেড়াতে এসে মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে সতী নদীর পানিতে ডুবে আনোয়ারুল হক (২৫) ও বৃষ্টি বেগম (১৯) নামে এক নব দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের জগতবেড় এলাকার সতী নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে ওই নব দম্পতির মৃত্যু হয়। ৬-৭ মাস আগে তারা বিয়ে করেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহত বৃষ্টির মামা ফারুক হোসেন, লালমনিরহাট সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের হাবিলদার আব্দুর রহমান ও রাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা।
আপনার মতামত দিন
|