পিরোজপুরে ১ টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরী পেলেন দুই জন সরকারী চাকরী প্রত্যাশী। আজ বুধবার দুপুরে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন দুই জনের হাতে চাকরীর নিয়োগ পত্র তুলে দেন।
চাকরী প্রাপ্তরা হলো পিরোজপুর সার্কিট হাউজের পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে মো: আল-আমিন হাওলাদার। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শিকারপুর এলাকার মৃত মো: মন্নান হাওলাদারের পুত্র এবং পিরোজপুর সার্কিট হাউজের মালি পদে মো: মনিরুল ইসলাম। তিনি পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর কৃষ্ণনগর এলাকার মো. ছিদ্দিকুর রহমানের পুত্র।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন এ সময় সরকারি চাকরী প্রাপ্তদের হাতে নিয়োগপত্র, ফুলের তোড়া, মিষ্টি এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় ও ৪৯ টাকা উপহার হিসেবে প্রদান তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাহিদ ফারজানা ছিদ্দিকী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঝুমুর বালা।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলা সার্কিট হাউজে পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও মালী পদে দুই জনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কারণে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে মো: আল-আমিন হাওলাদার ও মালি পদে মো: মনিরুল ইসলাম কে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তারা দুই জনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। ৫০ টাকার সরকারি কোষাগারে দিয়ে চাকরীর জন্য নিয়োগের আবেদন করে ছিলে।
আজ তাদের নিয়োগ পত্র প্রদানের সময় তাদের কে উপহার হিসেবে ৪৯ টাকা ফেরত দেয়া হয়। যার ফলে তারা তাদের যোগ্যতা বলে মাত্র ১ টাকায় এ সরকারি চাকরী পেলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে যে ঘুষ-দুর্নীতি মুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেছে এবং পিরোজপুর জেলা প্রশাসন যে দুর্নীতি মুক্ত তার প্রমান হিসেবেই এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময় তাদেরকে নিয়োগ পত্রের সাথে সাথে ফুলের তোড়া, মিষ্টি ও পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় উপহার দেয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কর্ম দক্ষতা থাকেল যে বিনা টাকায় চাকরী পাওয়া যায় এটাই তার প্রমান।
নিয়োগ প্রাপ্ত মো: আল-আমিন হাওলাদার বলেন,‘সবাই বলে সরকারি চাকরী পেতে হলে টাকা লাগে, কিন্তু স্যার আমাদের মাত্র ১ টাকায় এই সরকারি চাকরী দিছেন। আমাদের উপহার দিছে। আমার আমাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করবো ইনসাআল্লাহ।”
নিয়োগ প্রাপ্ত মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, “সরকারি চাকরী এখন মানুষের কাছে সোনার হরিণের মতো। আর আমাদের এই চাকরী পেলাম মাত্র ১ টাকায়। জেলা প্রশাসক স্যার আমাদের আবার ফুলের তোড়া, মিষ্টিও পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড় উপহার দিছে। যারা বলে সরকারি চাকরী টাকা ছাড়া হয়না তাদের স্যার দেখিয়ে দিছে সরকারি চাকরী যোগ্যতায় হয় স্যারের মতো ভালো মানুষ থাকলে।”