শিরোনাম: |
ঢাকার নবাবগঞ্জে কালিগঙ্গা নদী ভাঙ্গন থামছে না। দিনদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর। উপজেলার শোল্লা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গার পাড়বর্তী এলাকা দিয়ে বসবাসরত অর্ধশতাধিক পরিবার ভেঙে গেছে কালীগঙ্গার তীরে। এখন তারা ভিটেবাড়ি হারা হয়ে বিভিন্ন জায়গায় কষ্টে বসবাস করতে হচ্ছে।
পাতিলঝাপ, চকোরিয়া, কোন্ডা, মেলেংসহ বেশকিছু এলাকায় ভঙ্গন কবলে পড়েছে৷ কোথায় থাকবে, কি করবে, কি খাবে। এসব বিষয়ে এখন এই এলাকার বাসিন্দারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এসব ভাঙ্গন প্রতিরোধের জন্য স্থায়ীভাবে নদীর পাড় দিয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের কাছে দাবি জানান ওই এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা করলে উপকৃত হবে এই অঞ্চলের জনগণ। এমনকি কোন ধরনের ঝুঁকি থাকবে না আগামী দিনগুলো। শোল্লা নবাবগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন। এমনকি ভোটার সংখ্যা রয়েছে বেশ।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শোল্লা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ফারুক হোসেন জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর যাবৎ পাতিলঝাপসহ শোল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ভেঙে গেছে কালীগঙ্গায়৷ বারবার চেষ্টা করলেও থামানো যাচ্ছে না এই ভাঙ্গন৷ গত কয়েক বছর আগে পাতিঝাপ বাজার এলাকায় ভাঙ্গনরোধের জন্য ব্লক দিয়ে বাঁধ দেওয়া হয়েছে৷ সেখানটা অনেকটাই ভালো রয়েছে৷ তবে, পাতিলঝাপ মাদবর হাটি এলাকায় ভাঙ্গন থামছে না৷ এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে গেছে নদীতে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এসে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জিআই ব্যাগ ফেলানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে৷ এখন কিছুটা রোধ হয়েছে৷ কিন্ত ব্লক এর মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ভঙ্গনরোধের ব্যবস্থা করলে তাহলে আর পাতিলঝাপবাসীদের ঝুঁকিতে বসবাস করতে হবে না৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ.এম সালাউদ্দীন মনজু বলেন, ভাঙ্গনরোধের জন্য জিআই বস্তা ফেলানো হয়েছে৷ আগের চেয়ে কিছুটা ঝুঁকি কমেছে। তবে, স্থায়ীভাবে ব্লক দিয়ে ভাঙ্গনরোধের ব্যাপারে এমপি স্যারের সাথে কথা হয়েছে৷ এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ও বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন৷
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/বি
আপনার মতামত দিন
|