শিরোনাম: |
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জেলার বিভিন্ন নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার ভারি বর্ষণে জেলা শহরের মোক্তারপাড়ায় সাবরেজিস্ট্রি অফিস আঙ্গিনায় পানি উঠে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। জেলার কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, সদর উপজেলা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া, খালিয়াজুরী, মদনসহ জেলার প্রায় সব উপজেলার নিন্মাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সোমবার ভারি বর্ষণে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পানি জমে যায়। অফিসে আগত মানুষকে হাটু পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। সেই সাথে টানা বৃষ্টির কারনে ছাদ থেকে দেয়ালের সাইট দিয়ে পানি ডুকে প্রতিটি রুমে পানিতে একাকার। পুরাতন বিল্ডিংয়ে বৃষ্টির কারনে এজলাশে বসে দলিল সম্পাদন করা ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে রেকর্রড রুমে থাকা বিপুল পরিমান দলিল। এ ছাড়াও বারান্দায় পানি পড়তে থাকায় দলিল লেখকরা পড়েছেন বিপাকে।
মোহনগঞ্জে ধনু,কলমাকান্দায় উব্দাখালি, সদর উপজেলার কংশ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় লক্ষাধিক মানুষ বেশ কিছুদিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছে। এতে করে ওই সমস্ত এলাকার মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউনিয়নগুলোর গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আটকে পড়া মানুষগুলোর মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। ভেসে গেছে প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ ৪২টি পুকুর। ওই সমস্ত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/ এফএইচ/বি
আপনার মতামত দিন
|