মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে। বিষয়টিকে যৌক্তিক সংস্কার হিসেবেই দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাবির পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন উপাচার্য।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিণত করতে চাই।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পরীক্ষা।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ৭টি বিভাগীয় শহরে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭১ হাজার ৪ জন। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোতে শনিবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৫৪ হাজার ৪৯৬ জন।
এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। অর্থাৎ, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা শেষে প্রশ্ন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরীক্ষার কোটা সংস্কারসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
গত বছর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এই ইউনিটে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন। তার মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেন।