Published : Saturday, 25 January, 2025 at 10:22 AM
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড জানিয়েছে, ওই তরুণী ভারতে অবৈধভাবে বাস করছিলেন এবং তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বা অন্য কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার শিকার তরুণীর নাম নাজমা। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি তার স্বামীর সঙ্গেই সেখানে থাকতেন। শুক্রবার সকালে রামমূর্তি নগরের কলকেরে লেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ডকে বলেছেন, “তার স্বামীর দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, নাজমার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। নাজমার ভাইও তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনিও এই শহরে থাকেন।”
তবে নাজমার কোনো কাগজপত্র না থাকলেও তার স্বামী সুমন বৈধভাবে গত ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করে আসছেন। তার কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্টও আছে। তিনি সেখানে সিটি কর্পোরেশনের ময়লা পরিশোধনের কাজ করেন। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান আছে। যারা বাংলাদেশে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকে।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, নিহত ওই নারী বিবাহিত ছিলেন এবং তার স্বামী ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তারা তিন সন্তানসহ শহরে বসবাস করতেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নিহত ওই নারী গত ৬ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে ভারতে বসবাস করছিলেন। তার স্বামীর বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ওই নারী তার সহকর্মীকে জানিয়েছিলেন যে তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং তার দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে আগে চলে যেতে বলেন। তবে রাতে বাড়ি না ফেরায় তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াডকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ফোন পেয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থানে এক নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নিষ্ঠুর অপরাধ। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।