Published : Tuesday, 21 January, 2025 at 11:59 PM, Update: 22.01.2025 3:17:58 AM
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন আপাতত হচ্ছে না। এর বিকল্প হিসেবে ‘হিউম্যান সিরাম অ্যালবুমিন’ দেওয়া হচ্ছে, যাতে লিভারের ওপর চাপ না পড়ে।
স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে মেডিকেল বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক। এই অবস্থায় খালেদা জিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা কিংস কলেজের একটি মেডিকেল টিম ২৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) পরীক্ষা করবে। শুক্রবার নাগাদ তিনি বাসায় ফিরতে পারেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার এক ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান, ম্যাডামের নতুন জটিলতা যেটি তৈরি হয়েছিল তার অনেকটা সমাধান হয়েছে। বলা যায়, পরিস্থিতি উন্নতি দিকে। তবে ম্যাডামের সার্জারি হচ্ছে না। তার এই শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় লিভার প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে না। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। স্বাস্থ্যের অনেক দিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও তার অনেক জটিলতা রয়েছে। বয়সও এখানে বড় একটি ফ্যাক্টর। তবে শারীরিক সক্ষমতা যখন ভালো ছিল তখন বিদেশ নিয়ে আসতে পারলে একটা সুযোগ থাকত।
অর্থাৎ এভার কেয়ার হাসপাতালে যখন চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন মেডিকেল বোর্ড বারবার তাগাদা দিয়েছিলেন উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ পাঠানোর জন্য। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি।
মেডিকেল বোর্ডের এই চিকিৎসক বলেন, লিভার প্রতিস্থাপনের বিকল্প হিসেবে হিউম্যান সিরাম অ্যালবুমিন দেওয়া হবে। এটি মানুষের রক্তের প্লাজমাতে সর্বাধিক প্রচুর প্রোটিন, এটি সিরাম প্রোটিনের প্রায় অর্ধেক গঠন করে। এটি লিভারে উৎপাদিত হয়। এটি দেওয়ার পর লিভারের ওপর চাপ পড়বে না। মেডিকেল বোর্ড নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনিরা নিয়মিত হাসপাতালে আসছেন। বাসা থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।