পাঁচ হাজার চালকের নামে অটোরিকশার মালিকানা দেয়াসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার বনানীতে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা মহানগর সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার বেশি সময় বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন অটোরিকশার চালকরা।
এ সময়ে বনানী থেকে মহাখালীমুখী সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
দাবি পূরণের আশ্বাসের পর চালকরা সড়ক থেকে সরে গেলে যানবাহন চলাচল আবার শুরু হয়।
চালকদের চার দফা দাবি হল- পাঁচ হাজার অটোরিকশা চালকের নামে নিবন্ধন, সরকার নির্ধারিত ৯০০ টাকা জমা বাস্তবায়ন, মিটার ও ‘নো-পার্কিংয়ের’ নামে পুলিশের হয়রানি ও জরিমানা বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও বিধিমালা ২০২৩ এর ‘চালক স্বার্থবিরোধী’ ধারাগুলো বাতিল করা।
বনানীতে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের মাঝখানে কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেখে দেয়া হয়েছে। সড়কের মাঝখানে বসে আছেন শতাধিক চালক। তারা দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
আকমল হোসেন নামে একজন চালক বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার চালকের নামে অটোরিকশা বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা ছিল। কিন্তু সেগুলো দেয়া হয়নি।
“মালিকরা সিন্ডিকেট করে অটোরিকশা নিয়ে নেয়, ড্রাইভাররা পায় না। একটা তিন, সাড়ে তিন লাখ টাকার অটোরিকশার দাম ২৫ লাখ টাকা কীভাবে হয়? এই সিন্ডিকেটের কারণে।
“তারা সিএনজি নিয়া ড্রাইভারদের জিম্মি করে রাখছে। সরকার নির্ধারিত জমাও তারা রাখে না, ১১শ টাকা রাখে। এজন্য আমরা রাস্তায় নামছি।
আসাদুল হক নামে আরেকজন চালক বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে মামলা দেয় পুলিশ। জরিমানার টাকা দিতে হয় তাদের।
তিনি বলেন, মালিকরা জমা বেশি নেয়, এছাড়া জিনিসপত্রের দাম অনেক বাইড়া গেছে। এই কারণে মিটারে এখন যাওয়া যায় না। আর কোনো কারণ ছাড়াই ট্রাফিক মামলা দেয়। এক মামলার জরিমানা না দিতেই আরেকটা চলে আসে। এইভাবে আমরা আর হয়রানি চাই না।
অবরোধ চলার সময়ই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হয় অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের নেতাদের।
পরে বেলা ২টার দিকে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক গোলাপ সিদ্দিকি সাংবাদিকদের বলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য আমরা আগামী এক সপ্তাহ দেখব। এজন্য আজকের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম।