লস অ্যাঞ্জেলসের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলা হচ্ছে একে। দুই দিনের দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে ২৮ হাজার একর জমি। বাড়ি ছাড়তে হয়েছে প্রায় ২ লাখ বাসিন্দাকে। সক্রিয় দুটি দাবানল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে নতুন করে আরও ২ লাখ মানুষকে ছাড়তে হবে ঘর। বাড়ি-ঘর হারিয়ে আর্তনাদ করছেন লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দারা। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাড়িয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১২ জানুয়ারি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন।
এদিকে, সামনের সপ্তাহের শুরুতে আবারও তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে ও তাতে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লস অ্যাঞ্জেলেসের ৪টি এলাকায় এখনো আগুন জ্বলছে। নতুন করে আরও ১ হাজার একর এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এক লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির আশপাশে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে এ ধরনের ভয়াবহ দাবানল আগে আর ঘটেনি। আগ্রাসী আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছারখার হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও বিষয়-সম্পত্তি। আগুনে সব নিঃশেষ হয়ে যেতে দেখাই শুধু নয়, লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে যানজট, প্রকট ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসাসহ নানা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
এবারের দাবানল পুরো লস অ্যাঞ্জেলেসকে যেন তছনছ করে ফেলেছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছেন।