রাজশাহীর মোহনপুরে ‘বিষাক্ত মদ’ পানে চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। তাদের দুইজন হাসপাতালের বাইরে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুইজন।
নিহতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. টোটন (৪০), একই গ্রামের মোন্তাজ আলী (৪০), করিশা গ্রামের মো. জুয়েল (৩৫) এবং নওগাঁর মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের বাসিন্দা আতোয়ার হোসেন (৩৫)।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র সংকর কে বিশ্বাস বলেন, তারা চুলাই মদ পানের পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুইজন মারা যান। আর হাসপাতালে পৌঁছার আগে দুইজন মারা যান।
এ ছাড়া যে চারজন চিকিৎসাধীন আছেন তাদের অবস্থা স্থিতিশীল। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, তারা ৭ একসঙ্গে মদ পান করেছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। টোটন ও জুয়েল অ্যালকোহল বিক্রি করতেন। অন্যদের সঙ্গে তারাও পান করেছিলেন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। এছাড়া নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা নিহত আতোয়ার বাকিদের সঙ্গে মদ পান করেছিলেন কি-না তা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে বুধবার রাত ১২টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বলেন, মদ পানে মারা যাওয়া মোন্তাজ আলীর ছেলে মাসুম রানা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।