দেশের বহুনির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কারখানাগুলোতে বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়া হয়। এই নোটিশ দেখে শ্রমিকরা কারখানা গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ সময় কারখানার কর্মকর্তারা শ্রমিকদের আশ্বাস দেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও কারখানা চালু হবে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ ও প্রশাসনের প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের সই করা নোটিশে উল্লেখ হয়, 'কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্য কারণবশত আগামীকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানাগুলো বন্ধ থাকবে। তবে কারখানার নিরাপত্তা, সরবরাহ ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে।'
বন্ধ ঘোষণা করা কারখানাগুলো হলো—এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড–নফ, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও ইনফিনিটি সি আর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার কালারপুল, তিনটি ইছানগর ও একটি বাঁশখালীতে অবস্থিত।
নগরের কালারপুল এলাকায় এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের গেটে আজ বিকেল ৪টার দিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শ্রমিক কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছিলেন। তারা আকস্মিক নোটিশে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় পরিবার–পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানান।
এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের উৎপাদন ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দীন বলেন, 'আমাদের কারখানায় সবকিছু স্বাভাবিক চললেও আকস্মিক ছুটির নোটিশ দেওয়া হলো। কেন সাধারণ ছুটি দিয়ে দিল, জানি না। আমরা একেবারে আকাশ থেকে পড়লাম।'
এস আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের হিসাব বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যাংক থেকে নতুন করে সহযোগিতা না পাওয়ায় কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। কাঁচামাল আমদানি করা না গেলে কারখানা চালুর সুযোগ নেই। এ জন্য সাময়িকভাবে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
এ ছয়টি কারখানায় অন্তত ১২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন বলে জানান এক কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে জানতে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এস আলম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপক আশীষ কুমার নাথ বলেন, 'কাঁচামাল সংকটের কারণে কারখানাগুলো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু থাকবে।