১৬ বছরে নানা অনিয়মের কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করে নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, এখন আমরা মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। যেসব আগাছা রয়েছে সেগুলো উপড়ে ফেলে একটি সুন্দর নির্বাচন ব্যবস্থা প্রণয়নের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ খান মিলনায়তনে ‘ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রম’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার থাকবে না। একই সঙ্গে অতীতে যারা নির্বাচনী অপরাধ করেছেন তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, নিজেদের প্রতি নিজেদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ৫৩-৫৪ বছরেও আমরা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত করতে পারিনি। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গেছে। এখন কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করে আগাছাগুলো পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।
এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, নির্বাচনী মাঠকে সমতল করা। এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। আর পরবর্তী যে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে তারাও মনে রাখবে যে কি প্রেক্ষাপটে তারা ক্ষমতায় এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে নির্বাচন ব্যবস্থা থাকলে ২-৩ টার্মেই মানুষ তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। তখন সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা একটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হবে। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকেই এই সংস্কারের প্রস্তাব করা হচ্ছে এবং আমরা আশাবাদী।
আগে সংস্কার নাকি আগে নির্বাচন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা বলেছি নির্বাচন হলে তো আগেই হতে পারতো। সংস্কার করাই হচ্ছে নির্বাচনের জন্য। আমরা চাচ্ছি নির্বাচন যেন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়। এখন যে অপরিচ্ছন্ন মাঠ এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সেজন্য সংস্কার করতেই হবে। এই সংস্কারের পরে আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এর মাধ্যমে (সংস্কার) আমাদের মধ্যে একটি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ইউনিয়ন পর্যায়ে ভাগে ভাগে নির্বাচন দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে এব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।