Published : Saturday, 14 December, 2024 at 10:01 AM
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। মূলত তিনি বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে মারধর করেন। এই ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে এমন শাস্তি দিয়েছেন বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
এতে বলা হয়, ইকবাল হোসেন দলবল নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক মিনহাজ আমানকে শারীরিকভাবে আঘাত এবং লাঞ্ছিত করেছেন, যা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ইকবালকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় অনুসারীদের নিয়ে বাস ভাঙচুরের পর চালককে মারধর করেন ইকবাল। তখন প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন বাসযাত্রী সাংবাদিক মিনহাজ। মারধরের শিকার হন বাসটির চালক মো. নয়নও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকার গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় আসিয়ান পরিবহনের একটি বাস। সায়েদাবাদ এলাকায় যানজটে গাড়ির সামনে হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল এসে থামলে দ্রুত ব্রেক করেন চালক। এতে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের ঝাঁকুনি লাগে। এ নিয়ে ওই বিএনপি নেতা চালককে ধমক দেন। তখন চালক পাল্টা তর্কে জড়ালে বিএনপি নেতা চালককে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
এরপর গাড়িটি সানারপাড় এলাকায় এলে আগে থেকেই সেখানে অপেক্ষমাণ ৩০ থেকে ৩৫ জন লোক গাড়িটির গতিরোধ করে ভাঙচুর করেন। পরে তারা চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে এনে মারধর করেন। সাংবাদিক মিনহাজ আমান বাস ভাঙার প্রতিবাদ জানালে তাকেও লাঞ্ছিত করে ইকবালের অনুসারীরা।
এ সময় লোকজন জড়ো হলে ইকবাল তার একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বলেন, তোর বাপেগরে জানাইস কে পিটাইছে।’ এরপর কর্মী বাহিনী নিয়ে স্থান ত্যাগ করেন ইকবাল।