এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৭০ জনে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ১৮৬ জনকে নিয়ে শুক্রবার হালনাগাদ এই তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গত এক দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানো তিনজনকে নিয়ে চলতি বছরের এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫১৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০৯ জন, ঢাকা বিভাগে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, খুলনায় ১৭ জন, বরিশাল বিভাগে চারজন এবং সিলেট বিভাগে একজন ভর্তি হয়েছেন।
গত এক দিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের তিনজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৩৫৪ জন।ৎ
এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ জন, আর ১ হাজার ৪০১ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ বছর মোট ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৪৯৩ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৭৭ জন।
ডিসেম্বরের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩ হাজার ৬০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ রোগী ভর্তি হয়েছে অক্টোবর মাসে। সেসময় ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। মার্চ মাসে আক্রান্ত হন ৩১১ জন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এপ্রিল মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০৪ জন, মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মে মাসে ৬৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জুন মাসে ৭৯৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে আটজনের।
জুলাই মাসে ২ হাজার ৬৬৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়। অগাস্টে ৬ হাজার ৫২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, এর মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।