চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাসের ৭ দিন এবং রিপন দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
গত বুধবার দিনগত রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকা থেকে আইনজীবী সাইফুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে তাকে কোতোয়ালি থানায় আনা হয়।
একই মামলার আরেক আসামি রিপন দাসকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ।
রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করার পর আদালত ভবনে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন সাধারণ আইনজীবীরা। এ সময় তারা সম্মিলিত সনাতন জোট (ইসকন) নিষিদ্ধের দাবি জানান।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নাকচ হওয়ার পর গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে বিক্ষোভ শুরু করে তার অনুসারীরা। এ সময় চিন্ময়ের প্রিজন ভ্যান আটকে প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ছুড়লে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আশপাশের এলাকায়। ওই সময় রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলির ভেতরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিনের ঘটনায় আরো পাঁচটি মামলা কোতোয়ালি থানায় রুজু হয়।