ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি ত্রিপুরা থেকে আনারস ও কাঁঠাল কেনা বন্ধ করে তাহলে তারা না খেয়ে মারা যাবে।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল (অব.) অলি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশ। তারা অন্য দেশকে সম্মান করতে জানে। আমাদের মনুষত্ব এখনও বিলুপ্ত হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভাঙচুরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশ যদি ত্রিপুরা থেকে আনারস ও কাঁঠাল কেনা বন্ধ করে, তাহলে তারা না খেয়ে মারা যাবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশ। তারা অন্য দেশকে সম্মান করতে জানে। আমাদের মনুষত্ব এখনও বিলুপ্ত হয়নি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যখন মুসলমানদের ওপর হামলা হয়েছে, তখন মমতা কোথায় ছিলেন? তখন কেন তিনি এর প্রতিবাদ করেননি। জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আবেদন জানানোর আগে ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিত।
বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা হয়নি উল্লেখ করে এলডিপির এই নেতা বলেন, আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলবো, আপনি ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ভ্রমণ করুন। তাহলে বুঝতে পারবেন এদেশে হিন্দুরা কতটা নিরাপদে আছে। ভিনদেশে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার করতে বারণ করেন তিনি।
বাংলাদেশে সব মানুষের সমান অধিকার রয়েছে জানিয়ে অলি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ। এখানে সবাই নিরাপদ। যারা অপপ্রচার করে তারা বাংলাদেশের মঙ্গল চায় না।