Published : Tuesday, 26 November, 2024 at 7:20 PM, Update: 26.11.2024 7:23:25 PM
মামলা হয়েছিল শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে, বিচারও শুরু হয়েছিল তখন; মাঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনকাল পেরিয়ে দুই যুগ পর খালাস পেলেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার আদালতে খালাসের রায়ের পর তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিচার বিভাগ স্বাধীন বলেই তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ফারুকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি হয়েছিল ২০০০ সালের ১৯ জানুয়ারি, তখন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। ফারুক ছিলেন বিএনপির সংসদ সদস্য।
তখন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠা পায়নি, ছিল দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফারুক নোয়াখালী ১ (সেনবাগ) আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট ১৯৯৯ পর্যন্ত তার পরিবারসহ সবার যত সম্পদ আছে, তার বিবরণী জমা দিতে তাকে নোটিস দেয়া হয়। ৪৫ দিন সময় পেয়েও তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
২০০১ সালের ১৭ জুন ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন পরিদর্শক ইমদাদুল হক। তখনও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়।
২০০৬ সালের ২৩ মার্চ ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। তখন ক্ষমতায় বিএনপি। আর ব্যুরো বিলুপ্ত হয়ে তার দুই বছর আগেই দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর দীর্ঘদিন ধরে ঝুলতে থাকা এই মামলায় মঙ্গলবার রায় দেন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ এস এম জিয়াউর রহমান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয় ফারুককে। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই বিএনপি নেতা।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে যে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হলো, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ স্বাধীন রায় হলো।
“বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন। বিচারকদের এখন আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয় না। বিপ্লবী ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা পেয়েছি, আজকের রায়ে তা প্রমাণিত হলো।”
নিজের মামলা মুক্তিকে জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের উৎসর্গ করে ফারুক বলেন, আমার অনুভূতি একটায় দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকুক। যে দলের হোক, যে মতের হোক, বিচার বিভাগ যেন সত্যিকার অর্থে স্বাধীন থাকে। বিগত দিনের মতো যেন আর বিচার না হয়।