জামিন নামঞ্জুর করে ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। তবে তাকে বহন করা প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়েছেন ইসকন সমর্থকরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম তার জামিন নামঞ্জুর করেন। তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
তবে জামিন নামঞ্জুরের পর তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হলেও কয়েকশ ইসকন সমর্থক ঘিরে রেখেছেন প্রিজন ভ্যানটি। তারা প্রিজন ভ্যান ঘিরে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সিএমপি কোতোয়ালি থানায় রাখা হয়। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে তোলা হয়।
এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করে।