গত কয়েক সপ্তাহে ধরেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। তবে সেই আলুর দাম আবারো বেড়েছে। খুচরা বাজারে মানভেদে আলু বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকায়। সেই হিসাবে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
এছাড়াও বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি ও মুরগির দাম। তবে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল।
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমেছে। এছাড়া শীতের সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম। একই সঙ্গে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মুরগির দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আলুর দাম চড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে আলুর দাম বাড়তি। হিমাগার থেকেই এখনো বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। ফলে আলুর দাম কমছে না। অন্যদিকে, কৃষকের ছোট পেঁয়াজসহ পেঁয়াজপাতা বাজারে আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম।
এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকের শীতকালীন সবজি বাজারে আসায় সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দামও কমতে শুরু করেছে। তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি শিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১৪০-১৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, শালগম ১০০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৭০-৮০ টাকা ও লাউ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য সবজি ও শাক আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।
বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেল। খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭২ টাকা ও খোলা পাম তেল ১৬২-১৬৩ টাকায় বিক্রি হয়। এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ১৬-১৭ টাকা ও খোলা পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বেড়েছে।
এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮৫ টাকায়। বেশ কিছুদিন ধরেই পণ্যটি ১৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম।
ডিমের ডজন চড়া দাম ১৫০ টাকায় স্থির থাকলেও কোথাও কোথাও পাঁচ টাকা কমে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।