উদ্দেশ্য ছিল টাকা ছিনতাইয়ের পরে রিকল্পনা অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে মুদি দোকানি রইসকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন মামুন ও জয়নাল। পরে গামলাতে রক্ত করে টয়লেটে ফেলে দেয়ার পাশাপাশি তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে দেন ডোবায়। জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দেন গ্রেপ্তারকৃত দুইজন আসামী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মুদি দোকানি রইস হত্যা মামলায় মামুন ও জয়নালকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, রইসের লুট হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রইস উদ্দিন কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় নলুয়া বাজারে তার মুদি দোকান ছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মো. মামুন (২৮) ও একই উপজেলার জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে মো. জয়নাল শেখ (৫০)।
এসব জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, রইস উদ্দিন পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর তিনি দোকান থেকে বাড়ি না ফিরলে আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় তার খোঁজখবর করেন। তার মোবাইলও বন্ধ পান স্বজনরা।
এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর তার ছেলে দুলাল হোসেন শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গত ২০ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। মামুন ও জয়নাল জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা রইসের দোকানে বসে মাঝে মাঝে আড্ডা দিতেন। তারা রইসের টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। ৩ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে তারা রইসকে অনুসরণ করেন। রইস বাড়ি যাওয়ার পরে রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে মামুন এবং জয়নাল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
এরপর তারা রইসকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ঘরে তোশকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নেন মামুন। এরপর রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। রইসের লাশ একটি বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়। তারপর লুটের টাকার মধ্যে থেকে মামুন নিজে ১০ হাজার টাকা নেন এবং জয়নালকে ৬ হাজার টাকা দেয়। এরপর তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত গিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।