Published : Tuesday, 19 November, 2024 at 12:07 AM, Update: 19.11.2024 12:31:10 AM
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা। ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি। বারবার ফাঁস হচ্ছে তার ফোনালাপ কিংবা অডিও কথোপকথন।
সেই ধারাবাহিকতায় আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নেতাকর্মীদের সঙ্গে অডিও কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে ছুড়ে দিচ্ছেন নানা হুমকি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে খুনি অ্যাখ্যা দিয়েছেন। কথার একপর্যায়ে বলেন, এদের বিচার তিনি করবেন।
রোববার আবারও শেখ হাসিনার ‘কণ্ঠে’ নতুন একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠের মতো একজন দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন।
অডিও থেকে জানা যায়, সুইডেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশটিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন দলটির নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ফোন কলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠান শেষে শেখ হাসনাকে উপস্থিত বাবু সুভাষ ঘোষ, লিংকন মোল্ল্যা, খোকন মজুমদার, নঈম বাবু, মোহম্মদ শহীদ, মাহবুবুর রহমান, লিমন, কবির, সাব্বিরসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করতে শোনা যায়।
অডিওর শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং সমন্বয়কদের খুনি অ্যাখ্যা দিয়ে এ সময় নেতাকর্মীদের ফোন কল রেকর্ড করার কথা বলা হয়।
অডিওতে বলা হয়, এই অবৈধ সরকারের অত্যাচারে সারাদেশের মানুষ জর্জরিত। কৃষক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে গেছে। শ্রমিক আন্দোলন করেছে, সাথে সাথে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে। চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেলো, সাথে সাথে গুলি করলো। সেখানে একজন মারা গেলো এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিলো।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জুলাই থেকে এই ছাত্ররা যখন আন্দোলন করে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। তারা সহিংস হওয়ার আগে গায়ে একটা টোকাও পড়েনি। তাদের মতো তারা আসছে-বসছে, আমরা তো তাদের কিছুই বলিনি।
পুলিশের কাছে কোনো মেটাল বুলেটা ছিল না। নির্দেশ দিয়েছি কোনো গুলি করবা না। পুলিশি ব্যারিকেড উঠিয়ে তারা ইচ্ছে মতো আন্দোলন করেছে। শুরু থেকে তো অনেক কিছু করা যেত, আমরা তো সেসব করিনি।
তিনি বলেন, এই কোটা তো আমিই বাতিল করে দিয়েছি। যেখানে কোনো কোটাই নাই, সেখানে আন্দোলনটা কিসের জন্য ছিল? তারপর আমাদের মন্ত্রীরা তাদের নিয়ে বসে, তাদের সব দাবি মানা হয়। দাবি মানার পরে আবার এক দফা। শেখ হাসিনাকে খুন করো, এই তো কথা? তাদের টার্গেট ছিল আমাকে হত্যা করা।