বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীও।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দেখা যায়নি। নূর হোসেন চত্বরে সকাল থেকে নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিভিন্ন দল।
সার্বিক পরিস্থিতিতে অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পুলিশের জলকামান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর টহলও রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর এদিনই প্রথমবারের মতো কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জিরো পয়েন্ট এদিন বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই স্থানে গণজমায়তের ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।
এর আগে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঠেকাতে শনিবার রাত থেকেই জিরো পয়েন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্র-জনতার ব্যানারে একদল মানুষ। রাতভর বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। রাত ১২টার দিকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে আসেন ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দলের সদস্যরা।
নূর হোসেন দিবসে পূর্ব ঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন উপস্থিত ছাত্র জনতা। তাঁরা ‘খুনি কেন বাইরে মুগ্ধ কেন কবরে, নূর হোসেন দিচ্ছে ডাক, খুনি শেখ হাসিনা নিপাত যাক’—এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁদের কারও কারও হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়।
জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা জানান, তারা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহত করতে জিরো পয়েন্টে এসেছেন। এ সময় শেখ হাসিনার বিচারের দাবিও তোলেন তারা।
গতকাল শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে জিরো পয়েন্টে বেলা ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। এরপর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ রোববার দুপুর ১২টায় গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের আয়োজন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।