মেডিকেল টেকনোলজি-ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

বাংলা हिन्दी English FaceBook ফটো ভিডিও আর্কাইভ

শিরোনাম:

■ বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ করবে চীন ■ জামিনে মুক্তির পর কারাগেট গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা ■ মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ■ সীমান্তে ‘ভারতীয় খাসিয়ার গুলিতে’ বাংলাদেশি নিহত ■ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ ■ বাংলাদেশ বিমানের দুবাইফেরত উড়োজাহাজ জব্দ ■ কাকরাইলে সাদপন্থিদের সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ

শিক্ষা

মেডিকেল টেকনোলজি-ফার্মেসি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

Published : Monday, 4 November, 2024 at 12:55 PM

স্বতন্ত্র পরিদপ্তর-নিয়োগসহ ৬ দফা দাবিতে রাজধানীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা মহাখালীর সড়ক অবরোধ করেছেন মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসির শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী থেকে লিংক রোড, বনানী, ফার্মগেট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ যানজট।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ১১টার দিকে অধিদপ্তরের সামনের সড়কে তারা অবস্থান নেন।

তাদের দাবি, প্রতিটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে একজন চিকিৎসকের বিপরীতে অন্তত একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টের পদায়ন ও দ্রুততম সময়ে পদ সৃষ্টি করে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্স ও ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘ ১৪ বছরেরও বেশি সময় প্রশাসনিক জটিলতায় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ১০৬ জন, এগুলোর বিপরীতে মোট পদের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৫টি। তবে চিকিৎসক ও নার্সের বিদ্যমান সংখ্যার অনুপাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি।

তারা বলেন, নিয়োগ জটিলতা শেষ হয়ে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট নতুন সৃষ্ট পদে ৮৮৯ জনকে নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই নগণ্য। দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় একটি বৃহৎ অংশের সরকারি চাকরিতে আবেদন বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। নিজস্ব কোনো দপ্তর না থাকায় এ দক্ষ অথচ বেকার জনগোষ্ঠী এক প্রকার হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন করছে। তাই আমরা আর ঘরে বসে থাকতে চাই না। এবার দাবি পূরণ করেই ঘরে ফিরতে চাই।

দেশ সংবাদ/এসএইচ