এমন বাস্তবতায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন, দুই উপদেষ্টা। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক সূত্র জানায়, আইন উপদেষ্টা ও তথ্য উপদেষ্টার সেই বৈঠকে প্রধান বিচারপতিকে প্রস্তাব দেয়া হয় পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হওয়ার। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে চলা সেই বৈঠকে, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তা বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দেন। এই মুহূর্তে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বই পালন করে যেতে চান তিনি।
যদিও বুধবার সকালে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে কোন কথা বলতে রাজি হননি, আইন উপদেষ্টা। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না। এখন অনেক ব্যস্ত আছি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বলছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে চলবে কি না দেশ অথবা নতুন কোনো পথ খোঁজা হবে তা দ্রুত পরিস্কার করা উচিৎ।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এ বিষয়টা স্পষ্ট করা দরকার। যদি কনস্টিটিউশনের ভেতরে থাকতে চায় তাহলে কনস্টিটিউশন মেকানিজম নিয়ে চলবে। আর যদি এর বাইরে যেতে চায় তাহলে বর্তমান কনস্টিটিউশন কি হবে এটাও তাদেরকে বলতে হবে। তবেই এটা স্পষ্ট হবে, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, চলে যাওয়া না যাওয়া। নতুবা অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান কি কিংবা তা মেকানিজমে আছে কিনা সবকিছু স্পষ্ট করে দেয়া দরকার।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করবেন স্পিকারের কাছে। যেহেতু স্পিকার পদত্যাগ করে এখন শুন্য, ডেপুটি স্পিকার ফানশান করতে পারছেন না, তিনি কারাগারে আছেন বলে আমরা জেনেছি। সুতরাং সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে আমার মতামত হচ্ছে যদি কোনো সময় রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করতে চান তিনি নিজে নিজে পদত্যাগ করবেন। এ পদত্যাগটা কাউকে এড্রেস করে করতে হবে এটা নেসেসারি না।
কবি মহাদেব সাহা বলেছিলেন, হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো সংবিধান নেই, তবে বাংলাদেশে সেই সংবিধান একাধিকবার কাঁটা ছেড়া করে সংবিধানের হৃদয়কেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। এরই মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিটি করা হয়েছে। হয়তো সংবিধান নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসবে আবারও। সূত্র :চ্যানেল ২৪