জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় গরুর বাছুরকে কেন্দ্র করে তরুণ কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে আজিজার রহমান (৪২), সাহেব আলীর ছেলে শাহাদুল ইসলাম (৩৮) ও তার ভাই সাইদুল ইসলাম (৩৫), মৃত শুকুর আলীর ছেলে মোজাম উদ্দীন (৬০) ও তার ভাই মোসলেম উদ্দীন (৫৫) এবং তার ছেলে আমিনুর রহমান (৩২), আশমতুল্লাহর ছেলে আবুল কাশেম (৩৬), মৃত সফাতুল্লাহর ছেলে আশমত আলী (৬০), মৃত সোলাইমানের ছেলে সেকেন্দার আলী (৪৫) ও তার ভাই শাহিন মোল্যা (৩২), ইয়াকুব আলীর ছেলে আকরাম আলী (৪৫), আশরাফ আলীর স্ত্রী মোছা. জিন্নাহ খাতুন (৫৫) এবং মৃত মেহের আলীর ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৫০)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) আবু নাছিম মো. শামীমুল ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ জুন বিকেলে ক্ষেতলাল উপজেলার আমুনিয়াপাড়ার মুনসুর আলীর একটি গরুর বাছুর প্রতিবেশী মোজামের বাড়িতে যায়। বাছুরকে পেটানোর ঘটনায় এলাকায় সালিশ বসে। সেখানে কথাকাটাটির একপর্যায়ে আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে গরুর মালিক মুনসুর আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেনকে বেধড়ক মারধর করা করে। এতে বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হয়। তখন স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজ মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত ফিরোজের বাবা মুনছুর আলী ক্ষেতলাল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম মামলা তদন্ত করে ২০১৩ সাসের ২৬ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।