জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও অসদাচরণের অভিযোগে রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ভিক্টর ক্লাসিকের ১২টি বাস আটকে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১৩ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বাসগুলো আটকে রাখেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমাদের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করেছে একটি বাসের চালক ও হেলপার। এ প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি বাস আটক করে রেখেছে। আমরা বিষয়টি সুরাহার জন্য বাসের মালিককে আসতে বলেছি। তারা এখনও আসেনি।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মৌখিকভাবে আমাদের অভিযোগ জানিয়েছে। লিখিতভাবেও সে অভিযোগ দেবে বলেছে। দুই পক্ষের কথা শুনে আমরা বিষয়টি সুরাহা করবো। সমাধান না হাওয়া পর্যন্ত বাসগুলো এভাবে আটক থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে ভিক্টর ক্লাসিক বাসের মালিক পক্ষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে লিখেন, গত ১৪ অক্টোবর রাজধানীর নতুনবাজার থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে আমি ও আমার ছোট বোন ভিক্টর ক্লাসিকের একটি বাসে উঠি। এরপর হেলপার ভাড়া চাইতে এলে আমি ৩০+৩০=৬০ টাকা দিই। তখন হেলপার বলেন বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাবে। তখন আমি বললাম তাহলে ২০ টাকা ফেরত দেন। কিন্তু তিনি দেননি।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে আরও লিখেন, এরপর আমি তাকে বললাম আমি স্টুডেন্ট হাফ ভাড়া কাটেন। তিনি বলেন, আমাদের বাসে কোনো হাফ ভাড়া নেই। আমি তাকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট পরিচয় দেয়ার পর তিনি আরও খারাপ আচরণ শুরু করেন। তখন আমি বললাম, আমার গুলিস্তান থেকে আরও ২০ টাকা ভাড়া লাগবে অন্য বাসে গেলে তাহলে আপনি একটি বাসে তুলে দিন। এটা বলার পরে তিনি আর চালক বলেন, এরা বেশি ঝামেলা করে এখানে ধইরা নামায় দে।
ওই শিক্ষার্থী লিখেন, এরপর আমি চিল্লাচিল্লি করলে বাসের অন্য যাত্রীরা বলেন তার হাফ ভাড়া কাট নতুবা বাকি টাকা ফেরত দে। এক পর্যায়ে তিনি বাধ্য হয়ে আমাকে ২০ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাহলে আমি স্টুডেন্ট পরিচয় দেয়ার পরও কেন এমন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।