হঠাৎ করেই ফার্মের ডিমের বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই বেসামাল ডিমের বাজার। সরকারি নির্ধারিত দরের ধারেকাছে নেই বহুল প্রয়োজনীয় এই নিত্যপণ্য। এমন পরিস্থিতিতে নতুন এই সংকট তৈরি করছেন আড়তদারেরা।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে, তেজগাঁও ডিমের আড়তে হয়নি কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা। এর ফলে, ১৫ থেকে ২০ লাখ পিস সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রতিটি ফার্মের ডিমের সর্বোচ্চ দাম বেধে দিয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। অথচ, ১৩-১৪ টাকার নিচে ডিম পাইকারি আড়তে মিলছে না। খুচরা দোকান কিংবা পাড়া-মহল্লায় এই দাম ছাড়িয়ে যাচ্ছে ১৫ টাকায়। এসবের প্রতিবাদে ডিম বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ ছাড়াও, চট্টগ্রামে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তারাও একই রকম দাবিতেই মূলত ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। আড়তে গিয়ে দোকানগুলোও বন্ধ দেখা যায়। তবে ভোক্তাদের দাবি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করেই বিক্রি বন্ধ করে রেখেছেন। আড়তের ভেতরে প্রচুর ডিম মজুত করে রেখে কৃত্রিম এই সংকট তৈরি করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
এদিকে, ডিমের বাজারে অভিযান চালিয়ে অনিয়ম পেয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। জরিমানা করা হয় একাধিক ব্যবসায়ীকে।