সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করেছে ইরান। লেবাননে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩৯ জনের প্রাণহানির ঘটনার তিন সপ্তাহ পর এ সিদ্ধান্ত নিলো তেহরান।
শনিবার (১২ অক্টোবর) ইরানের বার্তা সংস্থা আইএসএনএ বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ’র প্রতিবেদনে দেশটির বেসামরিক পরিবহন সংস্থার মুখপাত্র জাফর ইয়াজেরলোর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যতীত যোগাযোগের যেকোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে ফ্লাইটের কেবিনে প্রবেশ কিংবা কার্গো বিমানে এসবের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইন এমিরেটস তাদের বিমানে পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করেছে।
লেবাননজুড়ে ওই হামলায় বৈরুতে তেহরানের রাষ্ট্রদূত মোজতাবা আমানিসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। পেজার ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান ও হিজবুল্লাহ।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দুবাইভিত্তিক বিমান চলাচল সংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটে পেজার ও ওয়াকিটকির ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই যুদ্ধ লেবানন, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।
গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক এয়ারলাইন্স তাদের ইরানগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ইরান ওই অঞ্চলে তেহরান সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা ও ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক জেনারেলকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে তেল আবিবে প্রায় ১৮১টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।