গত ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত দিন ভারতেই অবস্থান করছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়ায় ভারতে থাকার বিষয়টি নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়।
এরপর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ভারত থেকে তিনি অন্য কোনো দেশে পাড়ি জমাতে পারেন। তবে ইউরোপ নাকি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে যাবেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে ভারত সরকারও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি।
অবশেষে খবর বেরিয়েছে তিনি ভারত ছেড়ে কোনো দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালে এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়, শেখ হাসিনা ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশটির আজমান শহরে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আরব আমিরাতের আজমান শহরে শামীম ওসমানের নিজের একটি বাড়ি আছে বলে শোনা গেছে। সেখানেই তিনি উঠেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়েছেন বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে শামীম ওসমানকে দিল্লিতে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ায় দেখা যায়। সেই ছবিও গণমাধ্যমে আসে। এর কিছুদিন পর দুবাইয়ের একটি শপিংমলে দেখা মেলে শামীম ওসমানের। সেখানে থেকে ধারণা পাওয়া যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতেই অবস্থান করছেন শামীম ওসমান।
সম্প্রতি তানভীর নামরে এক মার্কিন প্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়। সেখানে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায় তিনি দেশের খুব কাছেই আছেন। যেন চট করে ঢুকে পড়তে পারেন।
এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। ফলে ড. ইউনূসের সরকার চায়, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে।